এক আসরে বাংলাদেশের তিনজন জাতীয় ক্রিকেটার এবারই প্রথম আইপিএলে। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান আর লিটন দাস অংশ নেবেন আসন্ন আসরটিতে।
সাকিব আর লিটনকে নিলামে কিনে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। অন্যদিকে মোস্তাফিজ আগেরবারের মতোই দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলবেন।
কিন্তু বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলের খেলা থাকলে কেউই আইপিএল খেলতে পারবেন না।
সোমবার রাতে ধানমন্ডিতে এক ক্রীড়ানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে বিসিবি সভাপতি বলেন, 'যতবেশি ক্রিকেটার আইপিএলে যাবে আমরা তত খুশি। তবে বাংলাদেশের খেলা যখন থাকবে তখন কাউকেই ছাড়া হবে না। জাতীয় দলের খেলা থাকলে তারা কেউ খেলতে পারবে না। আমরা এরমধ্যে আইপিএল কৃর্তপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা জেনেই এসব ক্রিকেটারকে নিয়েছে। নাহলে আরও ক্রিকেটার যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।'
প্রসঙ্গত, বিসিবি আইপিএলের নিলামের আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে জানিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশের যে ক্রিকেটারই আইপিএল খেলুন না কেন, তারা ৮ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত খেলতে পারবেন। তারপর আর তাদের পাওয়া যাবে না।
মার্চে জাতীয় দলের আয়ারল্যান্ডের সাথে খেলা। আর এপ্রিলে আসবে ইংল্যান্ড। কাজেই তখন সাকিব, মোস্তাফিজ ও লিটন নিশ্চয়ই আইপিএলে অংশ নিতে পারবেন না।
কেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলার ব্যাপারে এতটা কড়াকড়ি করা হয়েছে? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে তিনি আইপিএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ডাক পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, 'এটা অবশ্যই আমাদের জন্য খুবই ভালো। আমরা কিন্তু সবাইকে সব খেলায় পাই না। কিছু ক্রিকেটার আছে খুবই চোটপ্রবণ। এদের নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত। খেলতে যে যাবে, তারপর? একে তো এখানে আমরা খেলাতে পারি না। পেসার যেমন অনেককে খেলাতে পারছি না। ভালো হবে, ভালো হয়ে ওখানে খেলবে। তারপর যদি চোটে পড়ে তাহলে তো জাতীয় দলে খেলতে পারবে না। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কারণ ওদের ওপর এমনিতে খেলার যে চাপ, জাতীয় দলের জন্য তারা অবদান রাখতে পারবে কি না, সেটাও দেখার বিষয়।'
পাপন যোগ করেন, 'সুযোগ পাওয়া ভালো দিক। তবে আমি মনে করি, একটু বুঝেশুনে যাওয়া উচিত। যতগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে সবগুলোতে যেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আইপিএল অবশ্যই সেরা, এখানে যাওয়াতে আমার কোনো সমস্যা নেই।’