চুয়াডাঙ্গায় গভীর রাতে উল্লাস করার সময় ট্রাকভর্তি আর্জেন্টিনার শিশু-কিশোর সমর্থককে নিরাপত্তার স্বার্থে হেফাজতে নিয়েছে সদর থানা পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে অভিভাবকদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও ট্রাকটি জব্দ ও চালককে আটক রাখে পুলিশ।
৩৬ বছর পর বিশ্বকা আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের পর মেসির হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি দেখে বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে একদল খুঁদে সমর্থক। ঘটিয়ে বসে এক অন্যরকম কাণ্ড। তারা প্রিয় দলের বিশ্বকাপ জয়ের পর উল্লাস উল্লাস করতে করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রাম থেকে একটি ট্র্যাকযোগে চুয়াডাঙ্গা শহরে আসে এবং শহরের মাথাভাঙ্গা সেতুতে উল্লাস করে।
জানা যায়, মেসির হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি ওঠার পর পরই খোলা ট্রাকযোগে অনিরাপদভাবে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে আলমডাঙ্গা উপজেলার বেশকিছু ক্ষুদে সর্মথকসহ আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। ট্রাকটি রাত দেড়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের ওপর উঠলে পুলিশ সর্মথকসহ ট্রাকটিকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
শিশু ও কিশোররা জানায়, ‘আর্জেন্টিনা বিজয়ী হওয়ায় আমরা আলমডাঙ্গা থেকে একটি ট্রাকে করে আনন্দ মিছিল বের করে চুয়াডাঙ্গা শহরে আসি। এরপর পুলিশ আমাদের থানায় নিয়ে আসে।’
সদর থানা পুলিশ জানায়, খোলা ট্রাক ভর্তি করে রাস্তায় শোডাউনে কিশোরদের কোনো নিরাপত্তা না থাকায়, তাদেরকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। আনন্দ উল্লাস করতে কোনো বাধা নেই, কিন্তু নিরাপদভাবে উল্লাস করতে হবে। একটি খোলা ট্রাকে চলন্ত অবস্থায় প্রায় শতাধিক অপ্রাপ্তবয়স্ক সমর্থকরা উল্লাস করছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই কিশোর ও শিশু। তাদের বয়স সাত বছর থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ‘আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর একদল শিশু-কিশোর একটি খোলা ট্রাকে করে আনন্দ মিছিল বের করে। তাদের কোনো নিরাপত্তা না থাকায় রাতেই আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। তবে রাতেই শুধু চালক বাদে সকল শিশু-কিশোরদেরকে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যেনো এমন কর্মকাণ্ড না করে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। আমরা ট্রাকটি জব্দ করেছি। পরে ট্রাকের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবরতী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’