আর মাত্র একটি ম্যাচ, এরপরেই জানা যাবে কে হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বের নতুন চ্যাম্পিয়ন। তাই সারা বিশ্বের দর্শক-সমর্থকদের চোখ এখন কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। ফাইনালে মুখোমুখি ল্যাটিন আমেরিকার পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ইউরোপের ফ্রান্স। দুই দলেরই সামনে তৃতীয় শিরোপা জেতার সুযোগ, ফ্রান্সের জন্য টানা দ্বিতীয়।
কাতারে ফ্রান্স খেলতে আসে বিশ্বের অন্যতম সেরা আক্রমণভাগ নিয়ে। তবে টুর্নামটেন্ট শুরুর আগেই তাদের সেরা দুই স্ট্রাইকার ক্রিস্টোফার এনকুনকু ও করিম বেনজেমা চোট থেকে ছিটকে পড়ে। পল পগবাও চোটের কারণে আসতে পারেননি কাতারে। তাতেও দমে যায়নি ফরাসীরা। এমবাপ্পে-দেম্বেলে-জিরুদরা কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জায়গা করে নিয়েছে তারা ফাইনালে।
এরই মধ্যে ফ্রান্সের ক্যাম্পে ক্যামেল ভাইরাস হানা দিয়েছে। অসুস্থতার কারণে সেমিফাইনালে খেলেননি ডায়োট উপাকেমানো ও আদ্রিয়েন র্যাবিওট। সবশেষ এই ভাইরাস বাসা বাঁধে কিংসলে কোম্যান, রাফায়েল ভারানে ও ইব্রাহিমা কোনাতের শরীরেও। তাতে ফাইনালের দল সাজানো নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন দিদিয়ের দেশম।
পাঁচজনের অসুস্থতায় কোচ দেশমের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা গেলেও র্যাবিওট ও উপাকেমানো শনিবার পুরো অনুশীলন করে স্বস্তি ফেরান। কোম্যান, ভারানে ও কোনাতেকেও দেখা গেছে ঘাম ঝরাতে। মানে পাঁচজনই মোটামুটি সুস্থ। তবে ফাইনালের তাপ তারা সামলানোর মতো অবস্থায় থাকেন কি না সেটাই দেখার অপেক্ষা।
তবে নিয়মিত স্ট্রাইকার জিরুদের চোট ভাবাচ্ছে ফ্রান্সকে। তবে তেমন গুরুতর আঘাত না হওয়ায় মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ফাইনালে তাকে খেলিয়েও দিতে পারেন দেশম। দেশের শীর্ষ গোলদাতাকে না পেলে শক্তিমত্তায় খানিকটা পিছিয়ে পড়া স্বাভাবিক।
এদিকে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিততে দারুণ ফর্মে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকেই চেয়ে থাকবেন ফ্রান্স ভক্তরা। দুর্দান্ত গতি আর ছন্দময় ড্রিবলিং দিয়ে নিজের দিনে যেকোন রক্ষণকে কাঁদিয়ে পিএসজির এই তারকা। মেসিদের বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারে আন্তোনি গ্রিজম্যানও। চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশিবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন তিনিই। এমবাপ্পেদের বল বানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে তার কাঁধেই।
ফ্রান্সের সম্ভাব্য একাদশ: হুগো লরিস (গোলরক্ষক), ইব্রাহিমা কোনাতে, রাফায়েল ভারানে, থিও হার্নান্দেজ, জুলস কুণ্ডে, আদ্রিয়েন র্যাবিওট, অরেলিয়ান চুয়ামেনি, উসমানে দেম্বেলে, অলিভিয়ের জিরু, আন্তোনি গ্রিজমান ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।