ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

হ্যারি কেইনের পেনাল্টি মিসে ইংল্যান্ডের বিদায়, সেমিতে ফ্রান্স

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২২

হ্যারি কেইনের পেনাল্টি মিসে ইংল্যান্ডের বিদায়, সেমিতে ফ্রান্স
ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ফেভারিট ফ্রান্স। ফরাসিদের হয়ে গোল দুটি করেন চুয়ামেনি ও অলিভিয়ার জিরুদ। ইংল্যান্ডের হয়ে পেনাল্টিতে একটি গোল করলেও আরেকটি পেনাল্টি মিস করেন হ্যারি কেইন। পেনাল্টি শট নিতে গিয়ে আকাশে বল উড়িয়ে দেন তিনি, তাতেই কপাল পুড়ে ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় ইংলিশরা।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই উপভোগ্য ফুটবল খেলতে থাকে। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় ফ্রান্স। ডান পাশ থেকে ডেম্বেলের ক্রসে জিরুদের হেড সোজা চলে যায় ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের হাতে।

ম্যাচের ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কাউন্টার অ্যাটাকে ফরাসিরা। এমবাপ্পে রাইসকে কাটিয়ে ডানদিকে সুইচ করেন এবং গ্রিজম্যানকে পাস বাড়ান। বলটি গ্রিজম্যান দেন চুয়ামেনিকে। ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোল করতে ভুল করেননি তিনি।

এক গোলে পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। ২৭ মিনিটে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায় হ্যারি কেইনের পেনাল্টি আপিল। ভিএআর এর মাধ্যমে দেখা যায় ফাউলটি ডি বক্সের বাইরে হয়েছিল। ৩০ মিনিটে আবারও হ্যারি কেইনের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন লরিস।

ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথমবারের মতো গোলের সুযোগ পান এমবাপ্পে। মিডফিল্ডে ফ্রান্সের একটি শর্ট ফ্রি-কিক এবং গ্রিজম্যান বক্সের বাইরে ডেম্বেলেকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান। তিনি হার্নান্দেজকে বল দেন। বলটি পেয়ে শট নেন এমবাপ্পে শট নিলেও সেটি বেরিয়ে যায় বারের ওপর দিয়ে। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

বিরতির পর ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। সাকা ডান ফ্ল্যাঙ্ক থেকে ড্রিবল করে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লে চুয়ামেনি তাকে ফাউল করেন। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি হ্যারি কেইন। এর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বাধিক গোলস্কোরার হলেন হ্যারি কেইন। ১-১ গোলে সমতা।

৭৭ মিনিটে জিরুদের শট দুরন্ত সেভ করেন পিকফোর্ড। কোনও মতে রক্ষা পায় ইংল্যান্ড।

৭৮ মিনিটে আবারও ফ্রান্সের লিড।  গ্রিজম্যানের ক্রস প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে ধাক্কা খেয়ে তার কাছেই ফেরে। আবারও গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে হেডে গোল জিরুদ।

৮২ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো ইংল্যান্ড। মাউন্টকে ডি-বক্সের ভিতর ফাউল করে বসেন থিও হার্নান্দেজ। প্রথমে রেফারি দেননি পেনাল্টি। পরে ইংল্যান্ডের দাবিতে ভারের সাহায্য নেন। ভার চেক করে পেনাল্টি দেন ইংল্যান্ডকে। হ্যারি কেইন পেনাল্টি শট নিতে এসেছিলেন। কিন্তু নার্ভ ধরে রাখতে পারেননি। শটটি গোলবারের অনেক ওপর দিয়ে মারেন। ওই পেনাল্টি মিসে ম্যাচ ইংল্যান্ডের হাত থেকে বের হয়ে যায়।

শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই সেমিফাইনালে ফ্রান্স। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ একের পর এক মিরাকল ঘটানো মরক্কো।