স্পেনকে বিদায় দিয়ে এরই মধ্যে আরব রূপকথার জন্ম দিয়েছে মরক্কো। প্রথম আরব দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এখন রূপকথা আরও পূর্ণতা পাবে যদি তারা আজ পর্তুগালকে বিদায় দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়তে পারে।
এর আগ পর্যন্ত শেষ ষোলো খেলতে পারাই ছিল মরক্কোর জন্য সেরা অর্জন। সেটা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে।
ইতিহাস গড়তে মরক্কোর কোচ রেগারুই শিষ্যদের তাতিয়ে দিচ্ছেন এই বলে যে, তাদের পেছনে আরব-আফ্রিকানদের বড় সমর্থন আছে, ‘আমাদের পেছনে আফ্রিকান ও আরব দেশের মানুষের সমর্থন আছে। তবে সবার আগে আমরা খেলবো মরক্কোর হয়ে।’
ম্যাচের পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মরক্কো কোচ জানিয়েছেন, তিনি খুবই খুশি হবে যদি রোনালদোর নামটা টিম শিটে না থাকে। তিনি আরও বলেছেন, ‘পর্তুগালের জন্য আমাদের অনেক শ্রদ্ধা আছে। ওদের বিশ্বমানের সব স্ট্রাইকার। তবে আমরাও যে চ্যালেঞ্জ জানাবো সেটা হয়তো তারা ভুলে যাবে না। আমাদের পরিকল্পনা আছে। অবশ্যই চাইবো একটা বিস্ময় উপহার দিতে। তার আগে আমাদের নিজেদের খেলায় মনোযোগ দিতে হবে।’
অবশ্য মরক্কোর জন্য স্বস্তির বিষয়টি হলো পুরো টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে একটি গোলও হজম করতে হয়নি তাদের। কানাডার বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ম্যাচটাতেও একটি গোল ছিল আত্মঘাতী। ডিফেন্ডার নায়েফ আগুয়ের্ড দুর্ঘটনাবশত ফ্লিক করে জালে বল পাঠিয়েছেন।
বিশ্বকাপে দুইবারের মুখোমুখি লড়াই থেকেও প্রেরণা নেওয়ার মতো উদাহরণ তাদের আছে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ৩-১ গোলে পর্তুগালকে হারিয়েছিল মরক্কো। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে অবশ্য গ্রুপ পর্বে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর একমাত্র গোলে তারা হার দেখেছিল।