বিশ্বকাপ ফটিবলের নকআউট পর্বের ম্যাচে মঙ্গলবার মধ্যরাতে অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়াই মাঠে নামে পর্তুগাল।
এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা ভাবতেই পারেননি তার সমর্থকরা। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে তেমনটাই দেখা গেল।
তবে রোনালদো জানালেন, সঠিক একাদশ নিয়েই খেলতে নেমেছিল পর্তুগাল।অনেকের ধারনা কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোসের সঙ্গে সংঘাত চলছে রোনালদোর।
যদিও তাদের কেউই এটা স্বীকার করেন না। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখেন কোচ।
তার বদলে জায়গা করে নেন গনসালো র্যামোস। তিনি বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক করেন।
৬-১ গোলে ম্যাচ জিতে ইনস্টাগ্রামে রোনালদো লেখেন, পর্তুগালের জন্য একটা দারুণ দিন। বিশ্ব ফুটবলের সব থেকে বড় প্রতিযোগিতায় ঐতিহাসিক ফল। প্রতিভা এবং তারুণ্যের মিশেল দেখা গিয়েছে। যে দল নির্বাচন করা হয়েছিল, সেটাকে প্রশংসা করতেই হবে। স্বপ্নের দৌড় চলছে। শেষ পর্যন্ত চলবে।
রোনালদোকে বাদ দিয়ে দল গঠন করার পরও দল নির্বাচনের প্রশংসা করলেন পর্তুগিজ তারকা।
বাদ পড়া নিয়ে রোনালদো নিজে কিছু না বললেও রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ একেবারেই খুশি হতে পারেননি।
তিনি সরাসরি কোচ স্যান্টোসকে আক্রমণ করেছেন। ম্যাচ শেষে ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি দেন জর্জিনা। পর্তুগালের খেলা দেখার জন্য মাঠে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
জর্জিনা নিজের ছবি দিয়ে লেখেন, পর্তুগালকে অভিনন্দন। কিন্তু ১১ জন ফুটবলার যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে, সেই সময় একজনকেই খুঁজছিল সবাই। এটা লজ্জার যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের খেলা পুরো ৯০ মিনিট দেখতে পেল না কেউ। ভক্তরা তোমার জন্য চিৎকার করছিল। তারা দাবি জানাচ্ছিল তোমাকে দেখার।
পর্তুগালের কোচ স্যান্টোসের সঙ্গে ঝামেলা চলছে রোনালদোর। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তুলে নেওয়ার সময় অঙ্গভঙ্গি করেন রোনালদো। যা একেবারেই পছন্দ হয়নি স্যান্টোসের।
এর পরেই পর্তুগালের কোচ জানিয়েছিলেন যে, প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে রোনালদো নাও খেলাতে পারেন তিনি। সেটাই দেখা গেল বুধবার।