পেনাল্টি শুটআউটে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ১ (৩)-১ (১) ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছে জাপান। তাদের রুপকথার সমাপ্তিটা ঘটলো শেষ ষোলো রাউন্ডেই।
তবে বিদায়ের কষ্ট পেয়েও আবর্জনা পরিষ্কার করে তবেই স্টেডিয়াম ছাড়েন জাপান সমর্থকরা।
আল জানুব স্টেডিয়ামে আবারও নীল রংয়ের ব্যাগ দেখা যায় তাদের হাতে। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আসনের নিচে জমে থাকা আবর্জনা গুলো সেই ব্যাগের ভেতর রাখেন তারা। তবে এটাই নতুন নয়, কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ ও নিজেদের গ্রুপ ম্যাচে একই চিত্র দেখা যায়।
সেই ম্যাচগুলোতে স্টেডিয়াম পরিষ্কার করেই মাঠ ছাড়েন ব্লু সামুরাই ভক্তরা। রাশিয়া বিশ্বকাপের মতো এবারও রেখে গেলেন ভদ্রতার নিদর্শন। মন জয় করে নিয়েছেন নেটিজেনদের। পরিচ্ছন্নতার কারণে পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তারা। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক জাপান সমর্থক বলেন, ‘আমাদের হৃদয় পরিষ্কার, তাই গ্যালারিও পরিষ্কার থাকতে হবে। ’ সেই সব সমর্থকদের খেলা শেষে মাথা ঝুঁকে শ্রদ্ধা জানান জাপান কোচ হাজিমে মরিয়াসু।
শুধু সমর্থকরা নন, খেলোয়াড়রাও নিজেদের দায়িত্ববোধ ভুলে যাননি। জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচের পরে ড্রেসিং রুমে একদম আগের মতোই পরিষ্কার রেখে যান তারা। বিন্দু পরিমান আবর্জনাও রাখেননি ফ্লোরে।
এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপের সময় স্টেডিয়ামের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে সবার নজর কেড়েছিল ব্লু সামুরাইরা। সেবারও শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে সরে আসেনি। তাই স্টেডিয়াম পরিষ্কার করেই মাঠ ছাড়ে।