বলার অপেক্ষা রাখে না, কুঁচকির ইনজুরি দেখা না দিলে তামিম ইকবালই হতেন এক নম্বর ওপেনার। সঙ্গে লিটন দাস না হয় এনামুল হক বিজয়ের কেউ একজন ওপেন করতেন। কিন্তু তামিম নেই। এখন ওপেন করবেন কে কে?
লিটন-বিজয়, নাকি লিটন-নাজমুল হোসেন শান্ত? তা নিয়েই নানা কৌতুহল। প্রায় পুরো শক্তির ভারতের বিপক্ষে হোম অব ক্রিকেটে প্রথম দিবাররাত্রির ম্যাচে টাইগারদের টিম কম্বিনেশন কেমন হবে, তা জানতেও আগ্রহের কমতি নেই টাইগার ভক্তদের।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস অবশ্য ওপেনিং জুটি আর সম্ভাব্য টিম কম্বিনেশ নিয়ে কোনো পূর্ব ধারণা দিতে পারেননি। বলেছেন, এখনও ওসব নিয়ে কথা হয়নি।
শোনা যায়, হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো নাকি ডান ও বাঁ হাতি কম্বিনেশন পছন্দ করেন। যদি তাই হয়, তাহলে তামিমের অনুপস্থিতিতে শান্তকে ওপেনার হিসেবে খেলানো হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
প্রথম ওয়ানডের আগে বাংলাদেশ দলের নেট প্র্যাকটিসেও মিলেছে তেমন আভাস। শেরে বাংলার পূর্ব উত্তর দিকের ইনডোরের খোলা আকাশের নিচে ন্যাচারাল টার্ফে পাশাপাশি নেটে শুরুতে একসঙ্গে ব্যাট করেছেন ৪ জন। সেখানে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তকেও প্রথম বহরে ব্যাট করতে দেখা গেছে। সাথে সাকিব আল হাসান আর আফিফ হোসেন ধ্রুবও ছিলেন।
পরের বহরে মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজেদের ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নেন। ব্যাটিংয়ের আগে শেরে বাংলায় অনেকক্ষণ কিপিং প্র্যাকটিস করলেন মুশফিক। লিটন অধিনায়কত্ব করলেও প্র্যাকটিসে পরিষ্কার বোঝা গেছে, ওয়ানডে সিরিজে গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়াবেন মুশফিক।
মুশফিক কিপিং করবেন, তাই নুরুল হাসান সোহানের প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা গেছে কমে। শনিবার বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা যখন নেট করছিলেন, সোহান তখন বিসিবি একাডেমির জিমে ফিজিক্যাল ট্রেনিং করেছেন। এ থেকেও অনেকটা স্পষ্ট, একাদশে তার জায়গা হচ্ছে না।
ওপেনিং জুটিতে ডান ও বাঁ হাতি কম্বিনেশন থাকলে লিটন বা বিজয়ের সাথে নাজমুল হোসেন শান্তর খেলা একরকম নিশ্চিত। এ তিনজনের একজনকে আবার তিনেও খেলানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাকিব চারে, মুশফিক পাঁচ, রিয়াদ ছয় আর আফিফ সাত নম্বরে খেলবেন। আট নম্বরে মিরাজ এবং সঙ্গে তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ এবং এবাদত হোসেন আর শরিফুল ইসলামের যে কোনো একজন খেলবেন।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
লিটন দাস (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম/ এবাদত হোসেন।