কাতারের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ওয়েলসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন মার্কাস রাশফোর্ড।
অন্য গোলটি করেছেন ফিল ফোডেন।
ম্যাচের তিনটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ওয়েলসের ওপর আক্রমণের ঝড় তোলে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৫০, ৫১ এবং ৬৮ মিনিটে গোল তিনটি করেন মার্কাস রাশফোর্ড এবং ফিল ফোডেন। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৭। এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাচের শুরুতে দু’দলই নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের দশ মিনিটের মাথায় হ্যারি কেইনের পাস থেকে গোলমুখে আক্রমণে যান রাশফোর্ড। তবে এগিয়ে এসে ইংলিশ ফরোয়ার্ডের প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ড। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মাঠে ইংল্যান্ডের আধিপত্য বাড়ে।
৩৮তম মিনিটে পাসিং ফুটবলে দারুণ একটি আক্রমণ শাণায় ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষটায় উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন ফিল ফোডেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবেই।
প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে থাকা গ্যারেথ বেলকে বিরতির পর আর নামাননি কোচ রব পেজ। তার বদলি নামেন নটিংহ্যাম ফরেস্টের ফরোয়ার্ড ব্রেনান জনসন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পরপর দুই মিনিটের দুই গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইংল্যান্ড। ৫০তম মিনিটে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে প্রথম গোলটি করেন রাশফোর্ড। আসরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডের এটি দ্বিতীয় গোল। ইরানের বিপক্ষে ৬-২ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে প্রথমটি করেছিলেন তিনি।
ওয়েলসকে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার কোনও সুযোগই দেয়নি ইংল্যান্ড। পরের মিনিটেই দ্বিতীয় গোল হজম করে তারা। এই গোলেও জড়িয়ে রাশফোর্ডের নাম। তিনি প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ার পর কেইন ডান দিক থেকে দূরের পোস্টে ক্রস বাড়ান আর প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফোডেন। বিশ্বকাপে ২২ বছর বয়সী ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডারের এটা প্রথম গোল।
৬৮তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান রাশফোর্ড। এই গোলে অবশ্য গোলরক্ষকের দায় আছে। ডান দিক দিয়ে বল পায়ে ঢুকে কারিকুরিতে সামনের একজনের বাধা এড়িয়ে শট নেন রাশফোর্ড। সোজাসুজি বল ওয়ার্ডের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ক্যারিয়ারে এই প্রথম জাতীয় দলের হয়ে এক ম্যাচে জোড়া গোল করলেন। এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোলের দেখা মেলেনি কোনও দলেরই। ফলে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। শেষ ষোলোতে তাদের প্রতিপক্ষ সেনেগাল।