কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার পর থেকেই সমালোচনা শুরু হয়। শুরুতেই দেশটির গরম আবহাওয়া এবং ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মৌসুমের মাঝামাঝি বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে হয় কড়া সমালোচনা।
পরে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয় দেশটির মানবাধিকার রেকর্ড, অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের ‘অমানবিক আচরণ’ এবং দেশটির আইনে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে তুলে ধরার মতো বিষয়গুলো।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এক প্রতিবেদনে জানায়, কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাওয়ার পর দেশটিতে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার অন্তত সাড়ে ৬ হাজার অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এসব সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগের দিন শনিবার কাতারের দোহায় সংবাদ সম্মেলনে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সমালোচকদের এক হাতে নেন।
তিনি বলেন, কিছু ইউরোপিয়ানদের কাছ থেকে, কিছু পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমাদের অনেক শিক্ষা নিতে বলা হয়েছে। আমি নিজে ইউরোপিয়ান। আমার মনে হয়, বিশ্বব্যাপী আমরা ইউরোপিয়ানরা গত ৩ হাজার বছর ধরে যা করে আসছি, কাউকে নৈতিক উপদেশ দেওয়ার আগে সেগুলোর জন্য পরবর্তী ৩ হাজার বছর আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আরও বলেন, ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলো কাতার বা এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশে মিলিয়ন মিলিয়ন...প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন আয় করে। তাদের মধ্যে কয়েকটি কোম্পানি কাতারে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে? আমার কাছে উত্তর আছে, কেউই কথা বলেনি। কারণ আইন পরিবর্তন করলে তাদের লাভ কম হতো। তবে আমরা (ফিফা) করেছি। ফিফা কিন্তু কাতার থেকে এই কোম্পানিগুলোর যে কোনোটির চেয়ে অনেক অনেক কম লাভ করেছে।