বিশ্বকাপ বিরতিতে যাওয়ার সময় যেন বোমা ফাটালেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ম্যানইউ কোচ এরিক টেন হাগ এবং ক্লাবের কয়েকজন কর্মকর্তাকে। পর্তুগিজ মহাতারকার অভিযোগ, বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে তার সঙ্গে।
ম্যানউইর সঙ্গে রোনাল্ডোর টানাপোড়েন চলছে অনেকদিন ধরেই। বলেছিলেন, একটি সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার করবেন সব। সোমবার বিশ্বকাপ বিরতি শুরু হওয়ার দিন ব্রডকাস্টার পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বললেন অনেক বিষয় নিয়েই।
স্পেন ও ইতালিতে একযুগ কাটিয়ে ২০২১-২২ মৌসুমে ম্যানইউয়ে ফেরেন রোনাল্ডো। সেবার দলের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনিই। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৭ ম্যাচে করেন ২৪ গোল। চলতি মৌসুমে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না রোনাল্ডো। শুরুর একাদশে জায়গা মিলছে না নিয়মিত। এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে গোল মাত্র তিনটি। সম্প্রতি আলোচনায় আসেন তিনি শৃঙ্খলা ভেঙে। টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচে শুরুর একাদশে জায়গা না পাওয়া রোনাল্ডো ৮৯ মিনিটে মাঠ ছেড়ে টানেলের দিকে রওয়ানা হন। এরপর কোচ টেন হাগ জানান, বদলি নামতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
ওই কাণ্ডের জন্য শাস্তি দেওয়া হয় তাকে। ম্যাচের পাশাপাশি মূল দলের সঙ্গে অনুশীলনেও নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য দলে ফেরেন।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে খুশি নন রোনাল্ডো, ছাড়তে চান ক্লাব এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। কোনো রাখঢাক না রেখে এবার পুরো ক্লাবের সমালোচনা করলেন পর্তুুগিজ তারকা। উগড়ে দিলেন ক্ষোভ, ‘আমার তার (টেন হাগ) প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই, কারণ তিনি আমাকে সম্মান দেখাননি। কারও যদি আমার প্রতি শ্রদ্ধা না থাকে, আমিও তাকে কখনো সম্মান দেখাব না।’
চলতি মৌসুমের শুরুতে নতুন ক্লাবের খোঁজে ছিলেন রোনাল্ডো। তার দাবি, ক্লাব ও টেন হাগ তাকে বাধ্য করে এমন কিছু করতে, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আমাকে জোর করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। শুধু কোচ নন, আরও দুই-তিনজন যারা ক্লাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে, এমনটা অনুভব করছি। আমি এসব পাত্তা দিই না, মানুষের সত্যিটা জানা উচিত। হ্যাঁ, আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, কিছু মানুষ আমাকে এখানে চায়নি, শুধু এই বছরই নয় গত মৌসুমেও।’