বিশ্বকাপ শুরুর এক সপ্তাহও বাকি নেই। অথচ, এ সময়ে এসেও ক্লাব ফুটবলের কঠিন লড়াইয়ে মাঠে নামতে হলো বিশ্বের সেরা তিন তারকাকে। লিওনেল মেসি, নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপে। অক্সিরের বিপক্ষে সেরা তিন তারকা যখন মাঠে নেমেছেন, নিশ্চিত প্রার্থনায় বসে গিয়েছিলেন লিওনেল স্কালোনি, তিতে এবং দিদিয়ের দেশম। কারণ, এই সময়ে আচমকা কোনো চোট যে কোনো তারকার বিশ্বকাপটাই শেষ করে দিতে পারে।
অবশেষে শঙ্কামুক্তভাবেই বিশ্বকাপের আগে ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেললেন মেসি-নেইমাররা। তাতে অবশ্য অক্সিরের বিপক্ষে গোল উৎসবই করেছে পিএসজি। ৫-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা।
রোববার ফরাসি লিগে ঘরের মাঠে অক্সিরের বিপক্ষে পূর্ণশক্তির দলই যে মাঠে নামাবেন, ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগেই পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গ্যালটিয়ের স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। মেসি, নেইমার ও এমবাপেকে সামনে রেখেই তিনি দল সাজান।
ম্যাচ শুরু হওয়ার ১১ মিনিটের মধ্যেই তাবারেজ মেন্দেসের পাস থেকে এমবাপে গোল করে বুঝিয়ে দেন, বিশ্বকাপে ফুল ফোটানোর জন্য তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত। গোল করার পরে কিংবদন্তি পেলের ভঙ্গিতে সতীর্থের কোলে উঠে উল্লাসে মাতলেন ফরাসি তারকা। আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও প্রথমার্ধে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেননি পিএসজির ফুটবলাররা।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার ছয় মিনিটের (৫১ মিনিট) মধ্যেই ২-০ করেন কার্লোস সোলার। ৫৭ মিনিটে পিএসজিকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন আশরাফ হাকিমি।
এর পরেই ৭৫ মিনিটে মেসি এবং নেইমারকে তুলে নেন গ্যালটিয়ের। দুই তারকা গোল না পেলেও হতাশ নন আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের কোচ এবং সমর্থকরা। তারা গোল নয়, চেয়েছিলেন বিশ্বকাপের আগে শেষ ম্যাচে যেন চোট না পান তাদের তারকারা। ৮১ মিনিটে গোল করেন রেনাতো স্যানচেজ। ম্যাচ শেষ হওয়ার ছয় মিনিট আগে ৫-০ করেন হুগো একিতিকে।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলে যোগ দিতে রোববার গভীর রাতে বা সোমবার আবুধাবি পৌঁছানোর কথা মেসির। নেইমার যাবেন তুরিনে প্রস্তুতি নিতে।