সংগ্রহটা বড় হলো না। শুরু থেকে পাকিস্তানকে চাপে রাখা ইংল্যান্ড মাঝে কিছুটা খেই হারালেও পরে উইকেট তুলে নিয়েছে ঠিকই।
তাতে পাকিস্তানের পুঁজিটা প্রত্যাশামতো বাড়েনি। ৮ উইকেটে ১৩৭ রানেই থেমেছে বাবর আজমের দল। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ইংল্যান্ডের দরকার ১৩৮।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ দলপতি জস বাটলার। দেখেশুনে শুরু করেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান।
পঞ্চম ওভারে এসে দলীয় ২৯ রানের মাথায় এই জুটিটি ভাঙে। স্যাম কুরানের বেরিয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে রিজওয়ান ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন (১৪ বলে ১৫)। এতে করে টুর্নামেন্টে ১১ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের ইতিহাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার কীর্তি গড়েন কুরান।
মোহাম্মদ হারিস উইকেটে এসে শুরু থেকেই স্বস্তিতে ছিলেন না। মারকুটে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করলেও বেশ কয়েকবার পরাস্ত হন তিনি। অষ্টম ওভারে আদিল রশিদকে বোলিংয়ে আনেন ইংলিশ দলপতি জস বাটলার। প্রথম বলেই তাকে তুলে মারতে গিয়েছিলেন হারিস, ক্যাচ হয়ে যান ১২ বলে ৮ করে।
তবে বাবর আজম খেলছিলেন দায়িত্ব নিয়ে। ওপেনিং থেকে ধরে খেলতে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক তৃতীয় উইকেটে শান মাসুদকে নিয়ে গড়েন ২৪ বলে ৩৯ রানের জুটি।
এই বাবরকেও ফেরান আদিল রশিদ। ২৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে পাকিস্তান অধিনায়ক করেন ৩২ রান। এরপর ৬ বলে ০ করে দলকে বিপদে ফেলে যান ইফতিখার আহমেদও। ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
সেখান থেকে শান মাসুদ আরেকটি জুটি গড়েন। শাদাব খানকে নিয়ে ২৫ বলে যোগ করেন ৩৬ রান। ১৩তম ওভারে মাসুদকে ফেরান স্যাম কুরান। ২৮ বলে গড়া তার ৩৮ রানের ইনিংসে ছিল ২ চার আর ১ ছক্কার মার।
১৩ বলে ২০ করে আউট হন শাদাব খান। স্বীকৃত ব্যাটাররা কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারায় শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের পুঁজিটাও আর বড় হয়নি।
ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল স্যাম কুরান। ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। দুটি করে উইকেট শিকার আদিল রশিদ আর ক্রিস জর্ডানের।