বিপর্যয় দিয়ে শুরু হয়ে পাকিস্তানের ইনিংস। পরে অবশ্য ইফতেখার আহমেদ ও শাদাব খানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভালো লক্ষ্য দাঁড় করায় পাকিস্তান।
সেই লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা বেশি দূর যেতে পারেনি। হানা দেয় বৃষ্টিও।
পরে ডিএলএস মেথডে রান ও ওভার কমিয়ে দিলেও আর জেতা হয়নি প্রোটিয়াদের।
তবে দারুণ এই জয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান।
পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশেকে হারানোর পাশাপাশি নেদারল্যান্ডস অথবা জিম্বাবুয়ে ম্যাচের সুবিধা নিয়ে শেষ চারে কোয়ালিফাই করতে পারবে তারা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশকে টপকে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে বাবর আজমের দল।
বৃহস্পতিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১৮৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে এই সংগ্রহ পেয়েছে তারা। জবাব দিতে নেমে টেম্বা বাভুমা ছাড়া শুরুতে ভালো করতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ৯ ওভার শেষে শুরু হয় বৃষ্টিও। এতেই কপাল পুড়ে দলটির। পরবর্তীতে ৬ ওভার কমিয়ে লক্ষ্য দেওয়া হয় ১৪২ রানের। সেই রান তুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। হারতে হয় ৩৩ রানে।
আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ওভারেই হারায় রিজওয়ানকে। পারনেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪ বলে ৪ রান করেন তিনি। তিন নম্বরে খেলতে নেমে রীতিমতো ঝড় তুলেন মোহাম্মদ হারিস। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১১ বলে ২৮ রান করে এনরিক নরকিয়ার বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যান তিনি।
আরেক দিকে ধরে খেলছিলেন বাবর আজম। ১৫ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। তাকেও আউট করেন এনগিদি। পাকিস্তানের ইনিংসকে মূলত এগিয়ে নেন ইফতেখার আহমেদ ও শাদাব খান। দুজনেই তুলেন হাফ সেঞ্চুরি।
৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে ৫১ রান করে ইফতেখার ও ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ২২ বলে ৫২ রান করে আউট হন শাদাব খান। প্রোটিয়াদের পক্ষে ৪ ওভারে ৪১ রান করে চার উইকেট নেন নরকিয়া।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই কোনো রান না করে বিদায় নেন কুইন্ট ডি কক। ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ টেকেননি রাইলি রুশোও। শাহিন শাহ আফ্রিদিরি বলে উইকেট হারান ৭ রান করে। লড়াই করতে থাকা টেম্বা বাভুমাও শেষ পর্যন্ত থিতু হতে পারেননি। ১৯ বলে ৩৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন এইডেন মার্করামও। ১৪ বলে ২০ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি।
হেনরিক ক্লাসেন ও ট্রিস্টান স্টাবস যখন স্ট্রাইকে তখনই শুরু হয় বৃষ্টি। পরে অবশ্য ডিএলএস মেথডে লক্ষ্য ও ওভার নির্ধারণ করে আবার মাঠে নামে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ২০ বলে ২৮ রানের জুটি গড়েন ক্লাসেন ও স্টাবস। দারুণ বল করতে থাকা শাহিন শাহ ক্লাসেনকে ফিরিয়ে ভাঙেন এই জুটি। ৯ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন প্রোটিয়া ব্যাটার। ব্যাট করতে নেমে ১ রান নিতেই উইকেট হারান পারনেল। ট্রিস্টান স্টাবসও টেকেননি আর। ১৮ রান করে নাসিম শাহর শিকার হন তিনি।
শেষদিকে কাগিসো রাবাদা ১ ও নরকিয়া ১ রান করে বিদায় নেন। লুঙ্গি এনগিদি ৪ ও তাবরাইজ শামসি ১ রান করে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ১০৮ রানে। পাকিস্তানের পক্ষে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে শাহিন শাহ। জোড়া উইকেট পান শাদাব খান।