বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আইরিশ ব্যাটারদের খুব একটা সুযোগ দেননি মিচেল স্টার্ক-গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। বড় সংগ্রহ ডিফেন্ড করতে গিয়ে শুরুতেই আয়ারল্যান্ড ব্যাটিং লাইনকে ধসিয়ে দেয় স্বাগতিক দলটি। শেষদিকে লরকান টাকার বেশ লড়াই করলেও তাতে হার এড়াতে পারেনি অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নির দল। এ জয়ে গ্রুপ ওয়ানের সেমির লড়াইটা আরও জমিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া।
ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সোমবার আয়ারল্যান্ডকে ৪২ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধীরগতিতে রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। গত কয়েক ম্যাচের মতো আজও বড় স্কোর করতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যারি মাকার্থির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেছেন মাত্র ৪ রানে। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৩৮ রান করে স্বাগতিকরা।
মিডল ওভারে রানের গতি কিছুটা বাড়ান মিচেল মার্শ ও অ্যারন ফিঞ্চ। তবে সে জুটিকে বেশি বড় হতে দেননি ম্যাকার্থি। ২৮ রান করা মার্শকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান বাঁহাতি এ পেসার। ৯ বলে ১৩ রান করে ম্যাক্সওয়েলও ফিরেছেন দ্রুতই।
চতুর্থ উইকেট ঝড় তোলেন অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্কাস স্টোয়িনিস। তাদের ৩৬ বলের জুটি থেকে এসেছে ৭০ রান। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ জুটিও ভাঙেন ম্যাকার্থি, ফিঞ্চকে ফিরিয়ে। শেষদিকে টিম ডেভিডের ১৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ২০ ওভারে ১৭৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
১৮০ রানের লক্ষ্যতাড়ায় শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। দলীয় ২৫ রানে পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে চার ওভারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আইরিশরা। শুরুটা হয় অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নিকে দিয়ে। ইনিংসের স্বিতীয় ওভারে প্যাট কামিন্সের বল স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন আইরিশ অধিনায়ক।
পরের ওভারের শুরুতেই স্টার্লিংকে ফেরান ম্যাক্সওয়েল। একই ওভারে স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হ্যারি টেক্টর। চতুর্থ ওভারে স্টার্ক এসে নেন আরও দুই উইকেট। তাতে বিরাট চাপে পড়ে আইরিশরা। ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন লরকান টাকার ও গ্যারেথ ডিলানি। কিন্তু ১৪ রান করে ডিলানি আউট হবে ভাঙে ৪৩ রানের সে জুটি।
এরপরেও লড়াইটা একাই চালিয়ে যাচ্ছিলেন টাকার। কিন্তু ওপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকায় সেটাকে আর সাফল্যে রূপ দিতে পারেননি। ১১ বল বাকি থাকতেই ১৩৭ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। ৪৮ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন টাকার।