দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর পর্দা উঠতে বাকি আর মাত্র ২৮ দিন। প্রথমবারের মতো ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টটি আয়োজন করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আয়োজক দেশ কাতারকে বিশাল আকৃতির দুটি পান্ডা উপহার দিয়েছে চীন। চীনের পাহাড়ী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত সিচুয়ান প্রদেশ থেকে পান্ডা দুটিকে উড়িয়ে আনা হয়েছে।
প্রতি সপ্তাহে তাদের খাদ্য হিসেবে প্রায় ১৮’শ পাউন্ড সতেজ বাঁশও চায়না থেকে আনা হবে। পান্ডা দুটির মধ্যে ৪ বছর বয়সী পুরুষ পান্ডাটির নাম জিং জিং, যার ওজন ১২০ কেজি। এই পান্ডাটির আরবি নাম রাখা হয়েছে সুহাইল। সি হাই নামের অপর পান্ডাটি নারী, যার ওজন ৭০ কেজি। সি হাইয়ের আরবি নাম রাখা হয়েছে থুরায়া।
পান্ডা দুটিকে অন্তত ২১ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এরপর তাদেরকে দেখার জন্য দর্শনার্থীদের অনুমতি দেয়া হবে। আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতারে প্রায় ১.২ মিলিয়ন পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আল ওয়াবরা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষন সংস্থার প্রধান টিম বাউট বলেছেন, পান্ডা দুটিকে রাখার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান তাপমাত্রার প্রয়োজন রয়েছে। তাদেরকে খুব একটা বাইরের আবহাওয়ায় রাখা যাবে না। দর্শনার্থীদের জন্য যখন তাদেরকে রাখা হবে তখনো খুব একটা আওয়াজ যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থাও ইতোমধ্যেই নেয়া হয়েছে।
চায়নায় বণ্যপ্রানী হিসেবে পান্ডা খুবই বিরল একটি প্রাণী। পশ্চিমাঞ্চলীয় পাহাড়ী এলাকা সিচুায়ানেই সাধারণত তাদের দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে প্রায় ১৮০০ পান্ডা বণ্যপ্রাণী হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে, এছাড়া আরো ৫০০টি পান্ডা চিড়িয়াখানায় রাখা আছে।
পান্ডাকে চায়নার মাস্কট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ইতোমধ্যেই চাইনিজ সরকার ২০টি দেশে উপহার হিসেবে পান্ডা পাঠিয়েছে।
কাতারে নিযুক্ত চাইনিজ রাষ্ট্রদূত ঝু জিয়ান বলেছেন, এখানে পান্ডা দুটো বেশ ভালোই সময় কাটাবে বলে তার বিশ্বাস। বিশ্বকাপ চলাকালীন এ থেকে মানুষ আরো বেশি আনন্দ উপভোগ করবে।