ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে লড়াইও করতে পারলো না বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, অক্টোবর ৯, ২০২২

নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে লড়াইও করতে পারলো না বাংলাদেশ
চিরাচরিত ব্যাটিং ব্যর্থতায় মিলেনি লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি। পারেননি বোলাররাও জ্বলে উঠতে। তাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সে অর্থে লড়াইটাও জমিয়ে করতে পারলো না বাংলাদেশ। আরও একটি সহজ হারে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন কঠিন করে ফেলল টাইগাররা।

রোববার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৩ বল বাকি রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিক দলটি।

দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল। তাই ফাইনালে উঠতে ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের জন্যই। তাতে জয় পেয়ে এগিয়ে গেল কিউইরা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আরও একটি ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।

সাদামাটা লক্ষ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে আটকে দিতে টাইগারদের প্রয়োজন ছিল ক্ষুরধার বোলিংয়ে শুরুতেই একাধিক উইকেট তুলে কিউইদের চাপে ফেলে দেওয়া। কিন্তু তেমন কিছুই করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকে দেখে শুনে ব্যাট করে এগিয়ে যেতে থাকে নিউজিল্যান্ড।

দলীয় ২৪ রানে অবশ্য ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারে বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন ফিন অ্যালান। টাইগারদের সাফল্য বলতে গেলে এটুকুই। এরপর দলীয় ১০৯ রানে যখন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে তুলে নেয় তারা, ততোক্ষণে ম্যাচ হেলে পড়ে স্বাগতিকদের দিকেই।

হাসান মাহমুদের বলে টাইমিংয়ে হেরেফের করে মিডঅনে তাসকিন আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন উইলিয়ামসন। দ্বিতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৮৫ রান যোগ করেন উইলিয়ামসন ও কনওয়ে। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় তারা। এরপর বাকি কাজ গ্লেন ফিলিপ্সকে নিয়ে শেষ করেন কনওয়ে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন কনওয়ে। ৫১ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন এ ওপেনার। অধিনায়ক উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। এছাড়া ফিলিপ্স অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে। মাত্র ৯ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানেই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজকে হারায় বাংলাদেশ। টিম সাউদির বলে পেছনের দিকে সরে গিয়ে খেলতে গিয়ে মিডঅনে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।

তবে এ জুটি ভাঙতে মাত্র ২৫ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাতে বড় চাপে পড়ে দলটি। দুইবার জীবন পাওয়া লিটন আউট হন বোলার ব্রেসওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে। লংঅফ সীমানার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে চাপম্যানের হাতে ধরা পড়েন শান্ত।

হতাশ করেন মোসাদ্দেক হোসেনকে ও ইয়াসির আলীও। কিছুটা বিস্ময় ছড়িয়ে এদিন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। আফিফ হোসেনের সঙ্গে ২৪ রানের জুটি গড়েন। বোল্টের বলে আফিফ বোল্ড হলে ভাঙে এ জুটি। পরের ওভারে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাকিব।

দলীয় ১১০ রানে ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশের পুঁজি কিছুটা দেখার মতো করেন নুরুল হাসান সোহান। আট নম্বরে নেমে খেলেন দারুণ এক ক্যামিও। ১২ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২৫ রান। তাতে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন শান্ত। ২৯ বলে ৪টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২৬ বলে ২৪ রান করেন আফিফ। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বোল্ট, সাউদি, ব্রেসওয়েল ও সোধি।