ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

হলান্ডের জোড়া গোলে সিটির বড় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৬, ২০২২

হলান্ডের জোড়া গোলে সিটির বড় জয়
মাঠে নামা আর গোল করা আর্লিং হলান্ডের জন্য এখন অনেকটাই নিয়মিত ব্যাপার। চেনা এই দৃশ্যের দেখা মিলল আবারও। অবিশ্বাস্য ফর্মে ছুটে চলা তারকার সঙ্গে জ্বলে উঠল পুরো দল। কোপেনহেগেনকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তৃতীয় জয় পেল ম্যানচেস্টার সিটি।

ম্যানচেস্টারের ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচটি ৫-০ গোলে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

শুধু প্রথমার্ধে খেলেই সিটির প্রথম দুটি গোল করেন হলান্ড। একটি করে রিয়াদ মাহরেজ ও হুলিয়ান আলভারেস। অন্যটি আত্মঘাতী।

ব্যবধান বাড়তে পারত আরও। দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করেন কোপেনহেগেনের গোলরক্ষক।

ম্যাচে সিটির দাপটের চিত্র ফুটে ওঠে পরিসংখ্যানেও। ৭৫ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য স্বাগতিকরা শট নেয় মোট ২৮টি, যার ১৫টি ছিল লক্ষ্যে। আর সফরকারীরা শটই নিতে পারে স্রেফ ২টি।

সপ্তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেয়েই এগিয়ে যায় সিটি। ডান দিক থেকে জোয়াও কানসেলোর পাস ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় পেয়ে ম্যাচে নিজের প্রথম স্পর্শে জালে বল পাঠান হলান্ড।

গত রোববার প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৬-৩ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করা নরওয়ের এই ফরোয়ার্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সিটির প্রথম তিন ম্যাচেই জালের দেখা পেলেন।

দ্বাদশ মিনিটে দ্বিগুণ হতে পারত ব্যবধান। জ্যাক গ্রিলিশের থ্রু বল ধরে বের্নার্দো সিলভার প্রচেষ্টা পোস্টে লাগে। ষোড়শ মিনিটে হল্যান্ডের হেড সহজেই ঠেকান গোলরক্ষক কামিল গ্রাবারা।

খানিক বাদে পরপর দুই মিনিটে হলান্ড ও গ্রিলিশের দুটি শট দারুণ দক্ষতায় ব্যর্থ করে দেন ২৩ বছর বয়সী গোলরক্ষক। ৩২তম মিনিটে গ্রিলিশের আরেকটি জোরাল শটে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি।

সেই কর্নারেই দ্বিতীয় গোল করেন হলান্ড। হেডে ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি কোপেনহেগেনের এক ডিফেন্ডার। বক্সের বাইরে থেকে কানসেলোর জোরাল শট গোলরক্ষক ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। কাছ থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠান হলান্ড।

এই আসরে পঞ্চম এবং সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হলান্ডের ২৮ গোল হয়ে গেল ২২ ম্যাচেই। সিটির জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২ ম্যাচে তার গোল হলো ১৯টি। সঙ্গে অ্যাসিস্ট ৩টি।

৩৯তম মিনিটে খোচোলাভার আত্মঘাতী গোলে স্কোরলাইন হয় ৩-০। বক্সের বাইরে থেকে সের্হিও গোমেজের শটে বল একে একে কোপেনহেগেনের দুই খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।

বিরতির আগে ব্যবধান বাড়তে পারত আরও। কাছ থেকে ওয়ান-অন-ওয়ানে উড়িয়ে মারেন বের্নার্দো সিলভা।

বিরতির পর হলান্ডকে আর নামাননি সিটি কোচ গুয়ার্দিওলা। তার জায়গায় নামানো হয় কোল পালমারকে।

পাঁচ মিনিট পর গোলও প্রায় পেয়ে যাচ্ছিলেন এই তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার। তার শট এক হাতে ব্যর্থ করে দেন গ্রাবারা।

৫৫তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে ব্যবধান আরও বাড়ান মাহরেজ। প্রতিপক্ষের বক্সে ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্ত ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল সিটি।

৭৬তম মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান আলভারেস। মাহরেজের পাসে কাছ থেকে গোলটি করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। শেষ দিকে গ্রিলিশ বল বাইরে মারলে ব্যবধান আর বাড়েনি।

৩ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে সিটি। আরেক ম্যাচে সেভিয়াকে ৪-১ গোলে হারানো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে। সেভিয়া ও কোপেনহেগেনের ১ পয়েন্ট করে।