মাঠে বিধ্বস্ত দল, কিন্তু তারকা ফুটবলার বেঞ্চে। তাকে শেষ পর্যন্ত নামানোই হয়নি মাঠে। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৬-৩ গোলের হার যেমন আলোচনার ঝড় তোলে প্রবল, তেমনি বিস্ময়ের জন্ম দেয় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে মাঠে না নামানোয়। ম্যাচের পর ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগের ব্যাখ্যাও বেশ কৌতূহল জাগানিয়া।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে রোববার সিটি নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় ৪-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেড কিছুটা লড়াই করতে পারে। তবে চ্যাম্পিয়নরা দাপটেই ম্যাচ জিতে নেয় ৬-৩ গোলে। গোটা ম্যাচে রোনালদো ছিলেন স্রেফ দর্শক।
ইউনাইটেডের একাদশে এমনিতে রোনালদো এখন আর নিয়মিত নন। শুরুর একাদশে জায়গা পান না বললেই চলে। তবে দল যখন মাঠে ধুঁকছে এভাবে, তখনও রোনালদোকে না নামানোয় প্রশ্ন ওঠে অনেক।
ম্যাচ শেষে এরিক টেন হাগের কথায় ইঙ্গিত, এমন বড় হারের ম্যাচে তিনি রোনালদোকে বিব্রতকর অভিজ্ঞতার স্বাদ দিতে চাননি।
“ক্রিস্তিয়ানোকে নামাইনি তার প্রতি ও তার অসাধারণ ক্যারিয়ারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে।”
“আরেকটা ব্যাপার হলো, অঁতনি মার্শিয়ালকে খেলানোর সুযোগটা নিতে চেয়েছি। মাঠে সময় কাটানোর প্রয়োজন ছিল তার। সে নেমে দুটি গোল করেছে।”
দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেডের হয়ে দুর্দান্ত একটি গোল করেন আন্তোনি। পরে দুটি গোল করেন মার্শিয়াল। তবে ফিল ফোডেন ও আর্লি হলান্ডের হ্যাটট্রিকে সিটি পায় দুর্দান্ত জয়।
তিন গোল করেও যখন বড় ব্যবধানে হারতে হয়, তাতেও ফুটে ওঠে প্রতিপক্ষ কতটা দাপুটে ছিল। টেন হাগ অবশ্য দায় বেশি দেখছেন তার দলেরই। ইউনাইটেড কোচের ময়না তদন্তে বের হলো, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির কারণেই তার দলের এমন পরাজয়।
“ব্যাপারটি খুব সাধারণ, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি। কোনো দল যখন মাঠে নেমে নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখে না, তারা তখন জিততেও পারে না। এটা অগ্রহণযোগ্য। আমরা পরিকল্পনা অনুসরণ করিনি এবং সেটার খেসারত দিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছি। এটাই হেয়ছে আজকে।”
“কৃতিত্ব সিটিকে দিতেই হবে। তবে ব্যাপারটি সিটির নয়, আমাদের পারফরম্যান্সই ভালো ছিল না। দল হিসেবে এবং ব্যক্তিগতভাবেও সবার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির কারণে এমনটি হয়েছে। প্রথম মিনিট থেকেই আমার এটা মনে হয়েছে।”
অনেক সময় পরাজয়ের ম্যাচেও ইতিবাচকতার ছোঁয়া থাকে কিছু। কিন্তু এই ম্যাচ থেকে কোনো প্রাপ্তিই দেখছেন না টেন হাগ।
“এই মুহূর্তে ইতিবাচক কোনো কিছুর কথা ভাবতেই পারছি না। সমর্থকদের প্রাপ্যটা দিতে পারিনি আমরা, নিজেদের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি এবং প্রচণ্ডরকম হতাশ আমরা।”