টেনেটুনে প্লে-অফে জায়গা পেয়েছিল জ্যামাইকা তালাওয়াশ। সেই জ্যামাইকাই শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) শিরোপা ঘরে তুললো। ফাইনালে প্রতিপক্ষ বার্বাডোজ রয়্যালসকে বিধ্বস্ত করেছে জ্যামাইকা। ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন ব্রেন্ডন কিং। তাকে যোগ্য সহায়তা দেন শামারাহ ব্রুকস। এর আগে ২০১৩ ও ২০১৬ সালেও শিরোপা ঘরে তুলেছিল জ্যামাইকা।
শনিবার (১ অক্টোবর) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করে বার্বাডোজ। আজম খানের অর্ধশত ও রাহকিম কর্নওয়ালের ৩৬ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ১৬১ রান সংগ্রহ করে বার্বাডোজ। জবাবে ব্রেন্ডন কিংয়ের তাণ্ডবে ৮ উইকেট ও ২৩ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সিপিএল শিরোপা ঘরে তোলে রভম্যান পাওয়েলের জ্যামাইকা।
ফাইনালের আগে ১১ ম্যাচে মাত্র ২ বার হারা বার্বাডোজ ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুটা খারাপ করেননি দুই ওপেনার রাহকিম কর্নওয়াল এবং কাইল মায়ার্স। ২১ বলে ৩৬ করেন রাহকিম। আর মায়ার্স ১৯ বলে ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে আজম খানের ৪০ বলে ৫১ রান বার্বাডোজকে বড় অক্সিজেন দেয়। এ ছাড়া ১৯ বলে ১৭ রান করেন জেসন হোল্ডার। বাকিরা অবশ্য কেউই দুই অঙ্কের ঘর পৌঁছতে পারেননি।
জ্যামাইকা তালাওয়াশের হয়ে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও নিকলসন গর্ডন ৩টি, ইমাদ ওয়াসিম নেন একটি উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জ্যামাইকা তালাওয়াশ। প্রথম ওভারেই কেনার লুইসের উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তখন দলের রান মাত্র ১। রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন কেনার লুইস। তবে দলের হাল ধরেন ব্রেন্ডন কিং। তাকে যোগ্য সহায়তা করেন শামারাহ ব্রুকস। ৫০ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ব্রেন্ডন। তার ইনিংসে ছিল ১৩টি চার এবং ২টি ছয়ের মার।
অন্যদিকে ৩৩ বলে ৪৭ করে আউট হন শামারাহ ব্রুকস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি ছয় এবং ৬টি চারে। এই জুটিই শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেয় জ্যামাইকাকে। এর পরে ব্রুকস আউট হলে ক্রিজে আসেন রভম্যান পাওয়েল। তিনি এক ছয়ের সাহায্যে ১৩ বলে ১৪ করে অপরাজিত থাকেন।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। আর টুর্নামেন্ট সেরা হন ব্রেন্ডন কিং।