আগের ম্যাচে শেষ দুই ওভারে ৯ রান নিতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৪। এবার শেষ ওভারে ইংলিশদের দরকার পড়ে ১৫ রান। আরও একবার কাছে এসে স্বপ্ন ভাঙলো ইংল্যান্ডের। শেষ ওভারে পাকিস্তান পেলো নাটকীয় এক জয়।
লাহোরে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ৬ রানের রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে সাত ম্যাচ সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
অভিষিক্ত আমির জামাল শেষ ওভারে স্নায়ুর পরীক্ষা দিয়েছেন। স্ট্রাইকে ছিলেন সেট ব্যাটার মঈন আলি। ইংলিশ অধিনায়ককে প্রথম দুই বলে কোনো রানই নিতে দেননি জামাল। তৃতীয় ডেলিভারিটি ইয়র্কার করতে গিয়ে দেন ওয়াইড।
তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন মঈন। ৩ বলে দরকার পড়ে ৮ রান। অভিষিক্ত এক পেসারের ওপর তখন পাহাড়সমান চাপ। সেই চাপ দারুণভাবে উৎড়ে গেছেন জামাল। পরের তিন বলে মাত্র ১ রান দিয়ে পাকিস্তানকে ভাসিয়েছেন জয়ের আনন্দে।
টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড। দলকে একাই টেনে নেন অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১০০ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তান রিজওয়ানের ব্যাটে চড়েই সম্মানজনক পুঁজি পায়। ১৯ ওভারে অলআউট হয় ১৪৫ রানে।
রিজওয়ান ৪৬ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। বাবর আজম আউট হন মাত্র ৯ রানে। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেবল ইফতিখার আহমেদ (১৫) আর আমির জামালই (১০) দুই অংক ছুঁতে পেরেছেন।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মার্ক উড। ২০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন এই পেসার। দুটি করে উইকেট শিকার স্যাম কুরান আর ডেভিড উইলির।
লক্ষ্য মাত্র ১৪৬ রানের। তবে পাকিস্তানি বোলারদের তোপে শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ৩১ রানে ৩টি আর ৮৫ রানে হারায় ৬ উইকেট। সেখান থেকে মঈন আলির লড়াই।
শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ জমিয়ে রেখেছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক। কিন্তু শেষটা আর করতে পারলেন কই? ৩৭ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩৫ বলে ৩৬ আসে ডেভিড মালানের ব্যাট থেকে।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে হারিস রউফ ২ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৪১ রান। একটি করে উইকেট নেন আমির জামাল, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান আর ইফতিখার আহমেদ।