প্রথমার্ধে দাপুটে ফুটবল খেললো ব্রাজিল। ৪০ মিনিটের মধ্যে করে ফেললো তিন গোল। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ঘানা আটকে রাখে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তবে বড় হার আটকাতে পারেনি।
ফ্রান্সের লু আভহাতে শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ঘানাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। মার্কুইনহোস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর জোড়া গোল করেন রিচার্লিসন। তিন গোলের দুটিতে অবদান ছিল নেইমারের।
গত বছরের জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের পর এই নিয়ে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত রইলো ব্রাজিল। এর মধ্যে তাদের জয় ১১টি, তিন ম্যাচ করেছে ড্র।
ঘানার বিপক্ষে ১১ বছর পর খেলতে নামা ব্রাজিল ৬৩ ভাগ বল দখলে রেখে মোট ২১টি শট নেয়, যার মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৭ শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ঘানা।
পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে লুকাস পাকেতার পাসে উড়িয়ে মারেন রিচার্লিসন। এক মিনিট পর ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাস বক্সের ভেতর পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পাকেতা।
তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি সেলেসাওদের। ম্যাচের নবম মিনিটে রাফিনহার কর্নারে অনেকটা লাফিয়ে উঠে হেডে দলকে এগিয়ে নেন পিএসজির ডিফেন্ডার মার্কুইনহোস।
প্রথমার্ধে ১২ মিনিটের ব্যবধানে আরও দুই গোল করেন রিচার্লিসন। দুটি গোলেই অবদান নেইমারের। ২৮ মিনিটে নেইমারের পাস ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন টটেনহ্যাম হটস্পারের ফরোয়ার্ড।
৪০ মিনিটে বাঁদিক থেকে মাপা ফ্রি-কিক নেন নেইমার। চতুর হেডে দলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ২৫ বছর বয়সী রিচার্লিসন।
জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি বদলি আনেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ৭৫ মিনিটে লুকাস পাকোয়েতার ক্রস থেকে প্রায় গোল পেয়েই যাচ্ছিলেন অ্যান্টোনি।
নেইমারেরও সুযোগ ছিল গোল উৎসবে নাম লেখানোর। ৮০তম মিনিটে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক শট নেন পিএসজি তারকা। একটুর জন্য সেটা জালে জড়ায়নি।
ব্রাজিলের পরের ম্যাচ মঙ্গলবার। প্যারিসে আফ্রিকার আরেক দেশ তিউনিসিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামবে তিতের দল।