ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, জুলাই ২, ২০২৪ |

EN

স্মিথ-ওয়ার্নারকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান না জনসন

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২

স্মিথ-ওয়ার্নারকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান না জনসন
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব পাওয়ার জন্য ফোনের অপেক্ষায় থাকার কথা সরাসরিই বলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। স্টিভেন স্মিথ প্রকাশ্যে আগ্রহ না দেখালেও বিবেচনায় থাকতে পারে তার নামও। তবে দুজনের কাউকেই আর নেতৃত্বে দেখতে চান না মিচেল জনসন। নিজের ভাবনার পেছনের কারণও ব্যাখ্যা করলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ফাস্ট বোলার।

অ্যারন ফিঞ্চ অবসর নেওয়ার পর ওয়ানডের জন্য নতুন অধিনায়ক খুঁজছে অস্ট্রেলিয়া। আর এক বছর পরই ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। নতুন অধিনায়কের চ্যালেঞ্জটা তাই একটু বেশিই হবে। সেই চ্যালেঞ্জের ভার বইতে পারবেন কে, তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে আলোচনা চলছে। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান স্মিথ ও ওয়ার্নারের নাম উঠে আসছে জোরেসোরেই।

এখানেই আপত্তি জনসনের। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুইটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ভারতে আছেন সাবেকদের ক্রিকেটে খেলতে। সেখানেই সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, এই দুইজনের কাউকে বেছে নেওয়া মানে পুরনো ক্ষত আবার দগদগে করে তোলা।
জনসন আরও জানান, স্মিথ-ওয়ার্নার কাউকেই অধিনায়ক করা উচিত নয়। দলকে তারা নানাভাবে পরামর্শ দিতেই পারে এবং সেটা তারা করেও আসছে। তবে তাদেরকে নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনার কোনো প্রয়োজন দেখি না, পুরনো সেই ব্যাপারগুলো ফিরে আসবে তাতে। তাছাড়া দুইজনই এখন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে আছে। তাই এমন একজনকে নেতৃত্বে আনা উচিত, যাকে অনেকটা সময় পাওয়া যাবে।

‘পুরনো ব্যাপার’ বলতে জনসন কী বোঝাচ্ছেন, তা সহজেই স্পষ্ট। বল টেম্পারিং বিতর্কের সময় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক ছিলেন তো এই দুজনই। বল টেম্পারিং কাণ্ডে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর আরও এক বছর নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা ছিল স্মিথের। সেই সময়টুকু শেষ হওয়ার পর টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক করা হয় তাকে। 

মূল অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বও দিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী স্মিথ আর খুব বেশিদিন ওয়ানডে খেলবেন না ইঙ্গিত দিয়েছেন। হয়তো আগামী বিশ্বকাপই হবে তার শেষ। ওয়ার্নারের নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা আজীবনের। তাই তাকে নেতৃত্বে ফেরাতে হলে আগে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে হবে। যদিও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে অনেকেরই মত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার। তবে তার বয়স আগামী মাসেই পূর্ণ হবে ৩৬।

ওয়ার্নার-স্মিথকে অধিনায়কত্ব না দেওয়া হলে সম্ভাব্য বিকল্প যারা হতে পারেন, তাদের নামও বললেন জনসন। তিনি জানান, প্যাট কামিন্স হয়তো সব সংস্করণের দায়িত্বে পেরে উঠবে না। ওয়ার্কলোড অনেক বেশি হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে, অন্য আর কারা আছে বিকল্প।

জনসন বলেন, নির্বাচকদের ভাবনায় তো নিশ্চয়ই কেউ আছেই। হতে পারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ভবিষ্যতের দিকে তাকালে ক্যামেরন গ্রিন বিবেচনায় থাকতে পারে। তবে অলরাউন্ডার হিসেবে এমনিতেই অনেক ওয়ার্কলোড তার। ট্রাভিস হেড আছে সম্ভাব্য একজন, তবে আগে তার নিজের ফর্মে ধারাবাহিক হতে হবে আরও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আর কোনো ওয়ানডে সূচি নেই অস্ট্রেলিয়ার। তাদের পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ শুরু ১৭ নভেম্বর, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। নতুন অধিনায়ক ঠিক করার জন্য তাই সময় কিছুটা আছে এখনও।