ম্যানচেস্টার সিটিতে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে এখনও সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি জ্যাক গ্রিলিশ। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে যেভাবে তিনি গোল করতেন ও করাতেন, তা এখানে এখনও দেখাতে পারেননি। তবে প্রতিপক্ষের গোলমুখে গ্রিলিশ কতটা কার্যকর, সেসব নিয়ে চিন্তিত নন দলটির কোচ পেপ গার্দিওলা। তিনি বললেন, গোল ও অ্যাসিস্ট ছাড়াও খেলোয়াড় হিসেবে গ্রিলিশ গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
২০২০-২১ মৌসুমে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে দারুণ খেলেছিলেন গ্রিলিশ। প্রিমিয়ার লিগে ৬টি গোলের পাশাপাশি তার নামের পাশে ছিল ১০টি অ্যাসিস্ট। এরপরই ১০ কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে তাকে দলে ভেড়ায় সিটি।
তবে সিটিতে প্রথম মৌসুমে আক্রমণে দেখা যায়নি ভিলার সেই গ্রিলিশকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৯ ম্যাচ খেলে জালের দেখা পান ৬ বার। চলতি মৌসুমে চিত্রটা আরও হতাশাজনক; পাঁচ ম্যাচ খেলে এখনও গোল বা অ্যাসিস্ট করতে পারেননি তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত বুধবার বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে আরেকটি ম্রিয়মাণ পারফরম্যান্সের পর ৫৮তম মিনিটে গ্রিলিশকে তুলে নেন গার্দিওলা। শেষ দিকের দুই গোলে ম্যাচ ২-১ ব্যবধানে জেতে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
এতে চাপ আরও বেড়ে গেছে গ্রিলিশের ওপর। প্রিমিয়ার লিগে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে গ্রিলিশের ব্যাপারে গার্দিওলা বলেন, দলের জন্য নিজের কাজটা ঠিকমতোই করে যাচ্ছেন ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
“অ্যাস্টন ভিলার হয়ে অবিশ্বাস্য সব গোল ও অ্যাসিস্টের জন্য তাকে দলে টানিনি আমরা। অন্য কারণে তাকে এনেছি আমরা।”
“মাঠে সে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করছে, তবে তাকে শীর্ষ মানের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে। সে নিজে এটা ভালোভাবেই জানে, কিন্তু কখনও অভিযোগ করে না। সে একজন চমৎকার মানুষ। ম্যাচে দলকে সাহায্য করা প্রথম কয়েকজন খেলোয়াড়ের একজন সে এবং অনুশীলনের সময়ও সে সবসময় এটাই করে।”
গার্দিওলা আশাবাদী, আরও বেশি খেলার সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে সমর্থ হবেন গ্রিলিশ।
“আমি তার আচরণ এবং সবকিছু নিয়ে খুশি। সে আমাদের বোঝে, আমরাও তাকে বুঝতে পারি। তার শুধু একটু ধারাবাহিকতা থাকা দরকার যা আমি তাকে দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং কারণ এটা তার প্রাপ্য।”
লিগে ৭ ম্যাচে ৫ জয় ও দুই ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বর স্থানে আছে সিটি।