ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

হল্যান্ডের অবিশ্বাস্য গোলে সিটির দুর্দান্ত জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২

হল্যান্ডের অবিশ্বাস্য গোলে সিটির দুর্দান্ত জয়
প্রথমার্ধে খোলস বন্দি হয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি বিরতির পর অনেক চেষ্টা করেও প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না। চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়। সেই তারাই শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে চার মিনিটের মধ্যে করল দুই গোল। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।  

জুড বেলিংহাম ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন জন স্টোনস। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে বেশিরভাগ সময় নিজের ছায়া হয়ে থাকা আর্লিং হলান্ড শেষ দিকে চমৎকার গোলে ব্যবধান গড়ে দেন।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোচ হিসেবে গুয়ার্দিওলার ১৫০তম ম্যাচের উপলক্ষ দারুণ জয়ে রাঙালেন তার শিষ্যরা।

প্রথম ম্যাচে সেভিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া সিটি প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে ভুগতে দেখা যায় স্বাগতিকদের। গোলের জন্য বিরতির আগে তাদের চার শটের একটিও লক্ষ্যে ছিল না

কোপেনহেগেনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করা ডর্টমুন্ড প্রথমার্ধে শট নিতে পারে একটি। ষোড়শ মিনিটে সালিহ ওজকানের সেই শট সহজেই ঠেকিয়ে দেন সিটির গোলরক্ষক এদেরসন।

দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পান ডর্টমুন্ডের মার্কো রয়েস। বেলিংহামের পাস পেয়ে ডি-বক্সে সিটির ডিফেন্ডার মানুয়েল আকনজির বাধা এড়িয়ে জার্মান মিডফিল্ডারের নেওয়া শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

মিনিট চারেক পর এই জুটির নৈপুণ্যেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। কর্নারের পর বক্সে বল পেয়ে যান রয়েস। তার ক্রসে কাছ থেকে হেডে বল জালে পাঠান ইংলিশ মিডফিল্ডার বেলিংহাম।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৮ ম্যাচে ১৯ বছর বয়সী এই ফুটবলারের গোল হলো ৪টি।

পিছিয়ে পড়ার পর মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণে সুবিধা করতে পারছিল না তারা। ৭২তম মিনিটে হলান্ডের উদ্দেশ্যে নিচু ক্রস বাড়ান ফিল ফোডেন। দারুণ ট্যাকলে বিপদমুক্ত করেন মাটস হুমেলস।  

হারের শঙ্কা তখন সিটি শিবিরে। এরপরই ৮০ থেকে ৮৪, এই চার মিনিটে তাদের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন।

প্রথমে ডান দিক থেকে কেভিন ডে ব্রুইনের পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন জন স্টোনস। গোলরক্ষক যেন বুঝতেই পারেননি, ঠেকানোর কোনো চেষ্টাও তিনি করেননি।

এরপর হলান্ডের ওই গোল। জোয়াও কানসেলোর ক্রসে বক্সে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মাঝে লাফিয়ে ভলিতে বল জালে পাঠান তরুণ ফরোয়ার্ড।

সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম দুই ম্যাচেই জালের দেখা পেলেন হলান্ড। সেভিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া গোল। নতুন ঠিকানায় সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯ ম্যাচে তার গোল হলো ১৩টি।

ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় তার ২৬ গোল হয়ে গেল ২১ ম্যাচেই।

২ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে সিটি। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ডর্টমুন্ড।

গ্রুপের আরেক ম্যাচে সেভিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করা কোপেনহেগেন ১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে সেভিয়া।

‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে দিনামো জাগরেবের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে এসি মিলান। এই গ্রুপের আরেক ম্যাচে সালসবুর্কের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে চেলসি। ইংলিশ দলটির কোচ হিসেবে গ্রাহাম পটারের প্রথম ম্যাচ ছিল এটি।