টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য টাইগারদের দল ঘোষণা নিয়ে গুঞ্জন ছিল গত কয়েক দিন ধরে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। অফ ফর্মে থাকা সাবেক এ অধিনায়কের বাদ পড়াটা অনেকটা অনুমিতই ছিল। তবে অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে তাকে শেষ পর্যন্ত দলে রাখা হবে— এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল।
আজ দল ঘোষণার পর দেখা গেল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী রিয়াদের মতো ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মুনিম শাহরিয়ারও। তাদেরও দলে রাখা হয়নি।
১৫ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন ব্যাটার সাব্বির রহমান। ডানহাতি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও দলে আছেন।
রিয়াদ বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ায় অনেকেই বলছেন কার্যত শেষ হয়ে গেল তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার। ৩৬ বছর বয়সি এ তারকা এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি টি-টোয়েন্টি ছাড়ার। হয়তো বিশ্বকাপটা খেলার আশা ছিল। কিন্তু সেই আশা পূরণ হলো না।
গত জিম্বাবুয়ে সফরে তাকে বাদ দিয়ে দল ঘোষণা করে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল বিসিবি। যদিও পরে তিনি চোটের কারণে ওই সফরে ডাক পান।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে একটি অর্ধশতক পেয়েছিলেন তখনকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এর পর থেকেই এ সংস্করণে ছন্দে নেই তিনি। বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৬.৫৪ গড় ও ১০২.৮২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
এশিয়া কাপের দুই ম্যাচে ২০ পেরিয়েছেন, তবে এক ম্যাচে স্ট্রাইক রেট ছিল ৯২.৫৯, অন্যটিতে ১২২.৭২।
২০০৭ সাল থেকে এ সংস্করণে খেলে আসা মাহমুদউল্লাহ এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১২১টি ম্যাচ, বাংলাদেশের হয়ে যেটি সর্বোচ্চ। বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়াতে এ সংস্করণে ভবিষ্যৎটা অনিশ্চিতই হয়ে পড়ল তার। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও ছিলেন অধিনায়ক।
পরবর্তী সময় রিয়াদ এশিয়া কাপের দলে থাকলেও ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি।