টিম ডিরেক্টরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এবার পাল্টা সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ। নিজের বক্তব্য বারবার বিকৃত বা আংশিকভাবে উপস্থাপিত হয় বলে গণমাধ্যমেরও সমালোচনা করেছেন টাইগারদের টিম ডিরেক্টর।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, রোহিত শর্মা যে শটটা খেলে বাংলাদেশের কোনও ছেলে ওই শটটা খেলতে পারে না এটা বিশ্বাসই করতে পারি না। কোন সময় সেটা বিশ্বাস করি না। যেটা বিরাট পারে তা আমাদের আফিফ পারবে না আমি এটা বিশ্বাসই করি না। আমাদের আফিফ হয়ত ওর চেয়ে বেটার পারে।
গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর আগের বক্তব্যের ব্যাপারে বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর সাংবাদিকদের বলেন, সেদিন আমি বলেছিলাম যে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মারা যেরকম শট খেলে আমরা যদি আফিফকে সে ফ্রিডম দেই বা অন্য ছেলেদের দেই তারা ওদের চেয়ে ভালো শট খেলতে পারবে। কিন্তু সেটা মিডিয়াতে আসলো কি আফিফ রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি থেকে ভালো শট খেলে। এর মানে কি আমি গালি খেলাম একশ।
শ্রীরামের কর্মশালার প্রথমদিন গণমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। তার বক্তব্য বিকৃত করে আকর্ষণীয় শিরোনাম দেয়ায় উপহাসের শিকার হয়েছেন বলে দাবি বিসিবি পরিচালকের।
এশিয়া কাপে ভরাডুবির কারনে ক্রিকেটাররা তো বটেই টিম ম্যানেজমেন্টও কাঠগড়ায়। যেখানে সবচেয়ে বেশি সরব সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সরাসরি টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের সমালোচনা করেছেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। হজম করতে না পেরে উল্টো আমিনুল ইসলামের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খালেদ মাহমুদ।
বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেন, ওনার (আমিনুল ইসলাম বুলবুল) কি যোগ্যতা আছে আমার ব্যাপারে কথা বলার সেটাই আসলে আমি জানি না। সে চায়না, ফিলিপাইন, ব্যাংকক ঐখানে অনূর্ধ্ব ১৩-১৫ ছেলে মেয়েদের সঙ্গে কাজ করেছে। ওখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কোথায় পেল আমি জানি না। তাই ওনার যোগ্যতাটা কোথায় আমার ব্যাপারে কথার বলার। আমি অনেক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের হাত দিয়েছি। আমি বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচও ছিলাম।
দাসুন শানাকার বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েও বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন খালেদ মাহমুদ। যে শ্রীলঙ্কা দলে কোন বিশ্বমানের বোলার নেই তারাই এশিয়া সেরা। টিম ডিরেক্টর জানালেন বাঙালি বলেই পাল্টা জবাব দেবার সাহস রাখেন তিনি।
বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমি মন্তব্য করেছিলাম একটা। যেহেতু আমি মনে করি বাঙালিকে যদি কেউ গাল দেয় আমিও গাল দেব, আমার কথা হচ্ছে সোজা। আমি এ রকম টাইপের ছেলে। আমি মনে করি আমার গায়ে পুরো বাঙালির রক্ত চলে। আমার গায়ে এখন বাংলাদেশ দলের লোগো লাগানো জার্সি। সুতরাং বাংলাদেশকে নিয়ে কেউ কিছু বলে পার পেয়ে যাবে আমার কাছ থেকে এটা হবে না কোনদিন।