ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪ |

EN

ইতিহাস গড়ে ফাইনালে তিউনিসিয়ার ‘মিনিস্টার অব হ্যাপিনেস’

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২

ইতিহাস গড়ে ফাইনালে তিউনিসিয়ার ‘মিনিস্টার অব হ্যাপিনেস’

ছবি: রয়টার্স

মাত্র মাস দুয়েক আগেই উইম্বলডনের সবুজ মখমলে ইতিহাস গড়েছিলেন ওন্স জাবের। এবার তিনি নতুন কীর্তি গড়লেন নিউ ইয়র্কের হার্ড কোর্টে। উন্মুক্ত যুগের প্রথম আফ্রিকান নারী হিসেবে তিউনিসিয়ার তারকা পা রাখলেন ইউএস ওপেনের ফাইনালে।

সদাহাস্য মুখ আর কোর্টে একের পর রোমাঞ্চ ছড়ানো পারফরম্যান্সের জন্য তিউনিসিয়ায় তার আদুরে নাম ‘মিনিস্টার অব হ্যাপিনেস।’ দেশে আরও একটি উচ্ছ্বাসের উপলক্ষ এনে দিয়ে তিনি নিজেও আরেকবার আনন্দে ভেসে যান সেমি-ফাইনাল জিতে। দাপুটে টেনিসের প্রদর্শনীতে ২৮ বছর বয়সী তারকা বৃহস্পতিবার ৬-১ ৬-৩ গেমে গুঁড়িয়ে দেন এবারের আসরের চমক ফ্রান্সের ক্যাহোলিন গার্সিয়াকে।

শনিবার ট্রফির মঞ্চে জাবেরের প্রতিপক্ষ ইগা শিয়াওতেক। আরেক সেমি-ফাইনালে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকা। তিনিও প্রথমবার ইউএস ওপেনের সেমি-ফাইনালে উঠে এগিয়ে যান প্রথম ফাইনালের পথে। পোলিশ এই তারকা ৩-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে হারান বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কাকে।

দুটি ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী শিয়াওতেক শনিবার কোর্টে নামবেন ইউএস ওপেনে প্রথম ট্রফির জন্য, জাবেরের লক্ষ্য প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়।

ফ্রান্সের গার্সিয়াকে এ দিন শুরু থেকেই একদম দাঁড়াতে দেননি জাবের। ৬টি ‘এইস’ আর ১১টি ‘উইনার’ খেলে প্রথম সেট জিতে নেন স্রেফ ২৩ মিনিটেই। দ্বিতীয় সেটে কিছু লড়াই করেন গার্সিয়া, নিজেকে একটু হারিয়ে ফেলেন জাবেরও। তবে তা ক্ষনিকের জন্যই। শেষ পর্যন্ত এই সেটও দারুণভাবে জেতেন তিনি।

আগুনে এক সার্ভ দিয়ে ম্যাচ শেষ করেই হাঁটুতে ভর দিয়ে বসে প্রবল এক আনন্দ চিৎকারে কোর্টময় উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেন জাবের। আত্মহারা হয়ে কোর্টে শুয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। উদযাপন শেষে শোনান নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তৃপ্তির কথা।

“আমার জন্য দুর্দান্ত ম্যাচ। জানতাম, সে অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে কোর্টে নামছে। কাজেই আমার জন্য জরুরি ছিল শুরু থেকেই নিজের খেলা দিয়ে দাপট দেখানো। শেষ পর্যন্তও তা ধরে রাখতে পেরেছি।”

প্রথম আরব খেলোয়াড় ও প্রথম আফ্রিকান নারী হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে পা রেখেছিলেন তিনি গত জুলাইয়ের শুরুতে। কিন্তু প্রবল আবেগের সেই ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন এলেনা রিবাকিনার কাছে। এবার তার সামনে হাতছানি নতুন ইতিহাস গড়ার।

এই হার দিয়ে শেষ হলো টুর্নামেন্টে গার্সিয়ার দারুণ এক ভ্র্রমণ। গত মে মাসে পায়ের চোটে পড়ার পর অনেক লড়াই করে কোর্টে ফিরে এই আসর শুরু করেন তিনি র‌্যাঙ্কিংয়ের ৭৯ নম্বরে থেকে। একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে উঠে যান সেমিতেও। কিন্তু এখানেই থেমে গেল তার বিস্ময় যাত্রা।

এক টুকরো ইতিহাসের অংশ হয়েছেন শিয়াওতেকও। পোল্যান্ডের প্রথম নারী হিসেবে তার পদচারণা পড়তে যাচ্ছে ইউএস ওপেনের ফাইনালে।

ফাইনালের প্রতিপক্ষ জাবেরের সঙ্গে তার ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান ২-২। এবার ফাইনালেও লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই ধারণা শিয়াওতেকের।

“ওর সঙ্গে খেলা সবসময়ই কঠিন এবং আমি মোটামুটি নিশ্চিত, শারীরিক শক্তির একটি পরীক্ষা হবে এই ম্যাচে। ওর হাত এত দারুণ এবং বেজলাইনে এত আঁটসাঁট, আমাকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।”

“জানি না শেষ পর্যন্ত কী হবে। তবে এই মুহূর্তে আমি ফাইনালে উঠতে পারার সাফল্যকেই উপভোগ করতে চাই।”