টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভরাডুবির গল্পটা অনেকদিনের। ১৫ ম্যাচের কেবল দু'টিতে জিতে এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল।
এই টুর্নামেন্টেও দুই ম্যাচে হেরে ফিরতে হয়েছে দেশে।
মাসখানেক পরই হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টেও ভালো কিছুর প্রত্যাশা নেই সমর্থকদের। তবে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে চান। সেটা কতদূর? তিনি বলছেন, বিশ্বকাপ জেতা অবধিও ভাবেন তিনি। মানসিকতা বদলের চ্যালেঞ্জকেই বড় করে দেখছেন সুজন।
বুধবার সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে আসলে আমরা অনেক নিচে এখনও। এর থেকে নিচে যাওয়ার জায়গা নাই। এখান থেকে আমরা একটাই কাজ, যত তাড়াতাড়ি উপরে উঠতে পারি। সেটা কত তাড়াতাড়ি পারি, উপরে উঠবো অবশ্যই আমরা, শক্তিশালী একটা দল হবো। হয়তো সময় নেবে। আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। মেনে নিতে হবে অনেক কিছু। আমরা হারবো হয়তো এর মধ্যে, জিতবো। ’
‘সব থেকে বড় জিনিস হবে উন্নয়ন করছি কী না এই ফরম্যাটে, উন্নতি হচ্ছে কি না, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছি না। যেটা আমরা চাই ছেলেদের মাথায় ছড়িয়ে দিতে- আক্রমণাত্মক ও ফ্রিডম নিয়ে খেলতে চাই। যেই কথাটা সবসময় বলি, অনেকে হয়তো তাচ্ছিল্য করে। আসলে এই ফরম্যাটে দুই রকম হবে না। আপনি ফ্রিডমও দেবেন, আবার বলবেন কেন তুমি আউট হলা। প্রথম বলে আউট হতেই পারে। আমাদের এটা মেনে নিতে হবে। ’
এরপর বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে সুজন বলেছেন, ‘এটা করতে গিয়ে হয়তো নিউজিল্যান্ড ট্যুর ও বিশ্বকাপে এক-দুইটা ম্যাচেও জিততে পারবো না। আমি মনে করি আমরা যদি ম্যাচ জিতি তাহলে খুব ভাগ্যবান। জিতবো দুই-তিনটা ম্যাচ। আমাদের এখন এমন একটা অবস্থা, বলতে পারছি না...আত্মবিশ্বাস আমাদের অবশ্যই আছে। আমি খুব কনফিডেন্ট ছেলে সবসময়, আমি পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। পজিটিভ ছেলে আমিও। '
'আমি জিততে চাই। আমি মনে করি যে আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হতে পারি। আমি এটা মাথায় নেই। তারপরও রাস্তাটা সহজ হবে না, কঠিন হবে হয়তো ছয় মাস বা এক বছর। এর মধ্যে যে অনেক বড় পরিবর্তন হয়ে যাবে সেটা বলবো না। কিন্তু আমাদের মানসিকতা যদি বদলায়, সেটাতে আমি খুব খুশি হবো। ’