প্রিমিয়ার লিগের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বয়ে নিলেন আর্লিং হলান্ড। তার সঙ্গে গোলের খাতায় নাম লেখালেন ফিল ফোডেন ও রুবেন দিয়াস। সেভিয়াকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যাত্রা শুরু করল ম্যানচেস্টার সিটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ ব্যবধানে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। হলান্ডের দুই গোলের মাঝে একটি করেন ফোডেন। শেষ দিকে অন্য গোলটি করেন দিয়াস।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা সিটি সুযোগ তৈরি করলেও লক্ষ্যে শট রাখতে পারছিল না। চাপ ধরে রেখে ২০তম মিনিটে প্রথম প্রচেষ্টা লক্ষ্যে রাখে তারা এবং সেটাই গোল। ডান দিক থেকে দূরের পোস্টে দারুণ ক্রস বাড়ান কেভিন ডে ব্রুইনে, ঠিক সময়ে হলান্ড ছুটে গিয়ে পা উঁচু করে বলের দিক পাল্টে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান।
প্রতিপক্ষের চাপের মুখে প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময় নিজেদের অর্ধেই কাটাতে হয় সেভিয়াকে। প্রতি-আক্রমণে উঠে গোলের উদ্দেশ্যে দুটি শট অবশ্য নেয় তারা, তবে কোনাটিই লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
বিরতির পর খেলা শুরু হতেই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। হলান্ডের পাস ধরে ওয়ান-অন-ওয়ানে নিচু শট নেন ডে ব্রুইনে, কোনোমতে সেটা ঠেকিয়ে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক।
একের পর এক আক্রমণের দ্বিতীয় সাফল্য মেলে ৫৮তম মিনিটে। ডি-বক্সে জোয়াও কানসেলোর ছোট পাস ধরে সময় নিয়ে একজনের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে কাছের পোস্ট ঘেঁষে গোলটি করেন ফোডেন।
৯ মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন হলান্ড। ফোডেনের নিচু শট গোলরক্ষক ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, সামনেই ফাঁকায় দাঁড়ানো ২১ বছর বয়সী তারকা অনায়াসে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২০ ম্যাচে নরওয়ের স্ট্রাইকারের গোল হলো ২৫টি, সিটির জার্সিতে দুটি।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামের দলটির হয়ে সব মিলিয়ে সাত ম্যাচে ১২ গোল হলো তার। এর ১০টি তিনি করেছেন প্রিমিয়ার লিগে, ৬ ম্যাচে।
আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দলের চতুর্থ গোলটি করেন দিয়াস। ডান দিক থেকে কানসেলোর ছয় গজ বক্সে বাড়ানো পাস ফাঁকায় পেয়ে জালে ঠেলে দেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড নিজেদের মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়েছে কোপেনহেগেনকে।