ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, জুলাই ১, ২০২৪ |

EN

শেষ ওভারে ১৫ রান লাগলেও সমস্যা হতো না পান্ডিয়ার

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, আগস্ট ২৯, ২০২২

শেষ ওভারে ১৫ রান লাগলেও সমস্যা হতো না পান্ডিয়ার
ম্যাচের তখন টান টান অবস্থা। শেষ ৬ বলে ভারতের প্রয়োজন ৭ রান। প্রথম বলে জাদেজাকে ফিরিয়ে ভারতকে আরও চাপে ফেলে দিলেন নওয়াজ। দিনেশ কার্তিক নেমে  একটি রান নিলেন ঠিকই। তৃতীয় বলে ডট দেন হার্দিক পান্ডিয়া। চাপটা যেন পাহাড়সম হয়ে গেলো তখন। কিন্তু পান্ডিয়া মাথা ঝুঁকিয়ে ভরসা দিতে চাইলেন ফিনিশার ভূমিকায় একাদশে স্থান পাওয়া কার্তিককে, ‘চিন্তা করো না। আমিতো আছিই।’  পরের বলে ঠিক ঠিক ছক্কা মেরে কথার প্রমাণ রাখলেন তিনি। ওভার-বাউন্ডারিতে শেষ করলেন ম্যাচ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয়ের পর ভারতীয় এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, ১৫ রান প্রয়োজন পড়লেও তার সমস্যা ছিল না। অটুট থাকতো মনোবল। 

এশিয়া কাপে এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচেই নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন হার্দিক। ভারতীয় দল তার ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় কেন ছিল, এর প্রমাণ মিললো এই ম্যাচটায়। বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। তার পর তো ১৪৮ রান তাড়ায় ১৭ বলে ৩৩ রানের মহামূল্যবান অপরাজেয় ইনিংস উপহার দিয়েছেন।  ম্যাচের পর পান্ডিয়া তখনকার পরিস্থিতি নিয়ে বলেছেন, ‘রান তাড়ার ক্ষেত্রে ওভার বাই ওভার পরিকল্পনার প্রয়োজন পড়ে। আমি জানতাম এখানে একজন তরুণ বোলার নাসিম শাহ ও শাহনেওয়াজ দাহানি থাকবে। রয়েছে বামহাতি স্পিনার নওয়াজও। তখন শুধু ৭ রান প্রয়োজন। কিন্তু যদি ১৫ রানও প্রযোজন পড়তো, তাহলেও সুযোগটা নিতাম।’

তার পর যোগ করে বলেছেন, ‘আমি জানতাম, বোলার-ই তখন বেশি চাপে থাকবে। আমি শুধু বিষয়গুলো স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি।’

বল হাতেও পান্ডিয়ার ‘শর্ট বল’ কৌশল কাজে দিয়েছে ম্যাচে। ব্যাটারদের বিপদে ফেলেছে। তাতে দ্রুত পড়েছে উইকেটও। পান্ডিয়ার কথা, ‘বোলিংয়ের ক্ষেত্রে পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী খেলতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। তখন নিজের মূল অস্ত্র ব্যবহার করাই উত্তম। শর্ট বল এবং কঠিন লেংথে বল করা আমার শক্তির জায়গা। আর সেসবের ভালোমতো ব্যবহার মূল বিষয়। মূলত ব্যাটারদের ভুল করতে প্ররোচিত করা।’