দল পিছিয়ে ২-১ গোলে। সামনে পরাজয়ের চোখ রাঙানি। কঠিন এই সময়েই বেরিয়ে এলো আর্লিং হালান্ডের সেরাটা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে হ্যাটট্রিক করে দলকে উপহার দিলেন অসাধারণ জয়। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে তরুণ এই স্ট্রাইকারের এমন পারফরম্যান্সকে যদিও আলাদাভাবে দেখছেন না ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। কারণ? এই স্প্যানিয়ার্ডের মতে, এমন কিছু তো ক্যারিয়ার জুড়েই করে আসছেন হালান্ড।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও ৪-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
ঘরের মাঠে ২১ মিনিটের মধ্যেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল সিটি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ব্যবধান কমান বের্নার্দো সিলভা। এরপরই হলান্ডের জাদু। ৬২ থেকে ৮১, ১৯ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করেন নরওয়ের ২২ বছর বয়সী ফুটবলার।
বিশ্ব ফুটবলের সেরা তরুণ প্রতিভাবানদের একজন হালান্ডকে গ্রীষ্মের দলবদলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে দলে এনেছে সিটি। ইংলিশ দলটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচে তার গোল এখন ৬টি। চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম চার ম্যাচে ৬ বা এর বেশি গোল করলেন তিনি।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে এটি তার চতুর্থ হ্যাটট্রিক। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই তিনি হ্যাটট্রিক করেছিলেন আউক্সবুর্কের বিপক্ষে।
প্যালেস ম্যাচের পর স্কাই স্পোর্টসে গার্দিওলার কথায়ও ফুটে উঠল হলান্ডের ক্যারিয়ারের প্রতিচ্ছবি।
হাল্যান্ড আজ (শনিবার) যা করেছে, এটা তো সে ক্যারিয়ার জুড়েই করে আসছে। বিশেষ কিছু নয়।”
পরে সংবাদ সম্মেলনে হালান্ডকে নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণও তুলে ধরেন সিটির কোচ।
“জীবনে সবসময়ই সে গোল করেছে। সালসবুর্ক, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে সবসময় গোল করেছে। তার গোল করার প্রবণতা অবিশ্বাস্য। তিনটি গোল, বিশেষ করে শেষটি, প্রথমটিও ভালো গোল।”
“আমরা এখনও একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করছি, আরও সময়ের প্রয়োজন। ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার সময়ে আমি তার শরীরী ভাষা দেখছিলাম, কীভাবে সে তার সতীর্থদের উজ্জীবিত করছিল। আমার মনে হচ্ছিল, সে খেলার মধ্যে ছিল না, কিন্তু সবসময় সে তাই ছিল।”
সিটির হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকের পর স্বাভাবিকভাবে খুশি হালান্ড নিজেও।
“সত্যিই দারুণ এক অনুভূতি। আমার নিজের ও পরিবারের জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমরা এভাবেই এগিয়ে যাব। এই ম্যাচগুলোর জন্যই আমি এখানে আছি- কঠিন সময়ে সবকিছুর মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য।”