এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া করছেন স্ত্রী। স্বামী জানতে পেরে বারবার সে সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বললেও লাভ হয় না। ওই যুবককেও সতর্ক করা হয়। অবশেষে সহ্য করতে না পেরে খুনের ছক কাটেন স্বামী।
স্বামীর কাছ থেকে প্রাণ বাঁচাতে তার সঙ্গ দেন স্ত্রীও। পরিকল্পনা মত স্ত্রীকে দিয়ে সেই যুবককে ডাকিয়ে নিয়ে আসেন। তারপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রথমে খুন করা হয় যুবককে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মৃতদেহের শরীর থেকে আলাদা করা হয় মাথা। এরপর দেহটি ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীর পানিতে। আর একটি কলা বাগানের মধ্যে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেওয়া হয় ছিন্ন মাথাটি। সেই সঙ্গে পুঁতে দেওয়া হয় মৃতের জামাকাপড়ও।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পীরপুর গ্রামে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেমিককে খুন করতে স্বামী, স্বামীর এক বন্ধু ও তার ভাইকে সঙ্গ দেন ওই মহিলা। খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। বাকী একজন পলাতক, তার খোঁজ চলছে। পুলিশের জেরায় অভিযুক্তরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে মৃতের ছিন্ন মাথা এবং জামাকাপড় উদ্ধার করে পুলিশ। তবে খোঁজ পাওয়া যায়নি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া দেহের।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই থমথমে গোটা এলাকা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত যুবকের নাম বাবুসোনা ঘোষ (৩৫)। তার বাড়ি নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার মায়াকোল গ্রামে। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের নেতা পর্যায়ের একজন ছিলেন। একই গ্রামে বাস প্রহ্লাদ ঘোষ নামের এক ব্যক্তির। তার স্ত্রী নমিতা ঘোষের সঙ্গেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বাবুসোনার।
স্ত্রীর আচরণে প্রথমে সন্দেহ হয়েছিল প্রহ্লাদের। ক্রমে তিনি নিশ্চিত হন। কিন্তু সেই সম্পর্কে ইতি টানার কথা বলেও লাভ না হওয়াতেই স্ত্রী ও দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে এই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটান প্রহ্লাদ।
পুলিশ নমিতা, তার ভাই শংকর ঘোষ ও প্রহ্লাদকে গ্রেপ্তার করলেও ঘটনার পর থেকে পলাতক প্রহ্লাদের বন্ধু।