ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার আগ্রাসন এখনো শেষ হয়নি। কবে হবে, তাও কেউ জানে না। দেশটির আকাশ ছেয়ে আছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানে, ঝাঁকে ঝাঁকে বোমা এসে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে দেশটির ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। মৃত্যুভয়টা এখনো আছে ঠিক আগের মতোই! নিত্যদিনের সেসব শঙ্কা, সাক্ষাত মৃত্যুর চোখরাঙানিকে সঙ্গী করেই ফুটবল ফিরেছে ইউক্রেনের মাঠে।
গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ইউক্রেনের ঘরোয়া ফুটবল লিগ। চলতি বছরের শুরুতে দেশটিতে রাশিয়ান আগ্রাসনের ফলে দেশটির শীর্ষ ফুটবল লিগ বাতিলই করে দেওয়া হয়। গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নতুন মৌসুম।
তবে আর দশটা লিগের খেলা যেমন হয়, ইউক্রেনের ফুটবল লিগ মোটেও সেভাবে চলছে না। বোমাতঙ্ক আছে এখনো, তাই দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হচ্ছে লিগের সব ম্যাচ। আতঙ্ক যে শুধু দর্শকদের, বিষয়টা মোটেও তেমন নয়। ফুটবলাররাও আছেন আতঙ্কে। বোমা তো আর খেলোয়াড়-দর্শক বোঝে না!
বোমা থেকে বাঁচতে প্রতিটি স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে বাঁচার জায়গা। খেলার মাঝে সাইরেন বাজলেই সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফরা। ভয় কেটে গেলে আবার শুরু হচ্ছে অনুশীলন-খেলা।
এখানেই শেষ নয়, প্রতিটি ম্যাচ চলাকালে স্টেডিয়ামের ভেতর সেনাবাহিনী থাকবে। যদি কখনো এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সাইরেন বাজে তা হলে সেনাবাহিনী ঘিরে ফেলছে স্টেডিয়াম। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে তারা জানাচ্ছে খেলা শুরু করা যাবে কি না।
ইউক্রেন ফুটবল সংস্থার প্রধান অ্যান্ড্রি পাভেলকো বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ অন্য রকম পরিস্থিতিতে লিগ শুরু করছি। যুদ্ধের মধ্যেই খেলা হচ্ছে। বোমা, মিসাইলের আতঙ্ক নিয়েই খেলা হচ্ছে। অনেক ক্লাবের স্টেডিয়াম ভেঙে পড়েছে। তাদের সাহায্য করতে অন্য ক্লাব এগিয়ে এসেছে। ফুটবল আমাদের কাছে আবেগ, লড়াই। কোনো যুদ্ধ একে আটকে রাখতে পারবে না।’