খেলোয়াড়দের দলবদল নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার জন্য প্রায়ই সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। তবে এবার আর তেমনটা হয়নি, কাসেমিরোর দলবদল নিয়ে মোটেও কালক্ষেপণ করেনি তারা। দ্রুতগতিতে দলবদলের সব কাজ সম্পন্ন করে এই ব্রাজিলিয়ানকে দলে ভেড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছে তারা।
রিয়াল মাদ্রিদ বা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কেউই কাসেমিরোর দলবদলের ফি সম্পর্কে কিছু জানায়নি। তবে ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানোর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে দলে টানতে ৭০ মিলিয়ন ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৭০ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে, যার মধ্যে ৬০ মিলিয়ন ইউরো মূল দলবদলের ফি এবং ১০ মিলিয়ন ইউরো বোনাস।
বিদায়বেলায় কাসেমিরোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি লিখেছে, ‘ক্লাব ইতিহাসের অন্যতম অংশ হিসেবে কাসেমিরোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাবের মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার জন্য মাদ্রিদিস্তারা সবসময় তাকে মনে রাখবে। কাসেমিরো ক্লাবের জন্য সবটা দেওয়া একজন অনুকরণীয় খেলোয়াড়।’ ২২ আগস্ট কাসেমিরোকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে রিয়াল।
২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সাও পাওলো থেকে স্থায়ীভাবে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন কাসেমিরো। এর আগে এক মৌসুম মাদ্রিদের ‘বি’ টিমের হয়ে সেগুন্দা ডিভিশনেও খেলেছিলেন তিনি। মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে কাসেমিরো নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, ক্লাবের অপর দুই মিডফিল্ডার লুকা মদরিচ এবং টনি ক্রুসের সঙ্গে মিলে গড়ে তুলেছিলেন এক দুর্ভেদ্য মিডফিল্ড ত্রয়ী। অবশেষে কাসেমিরোর বিদায়ের মধ্য দিয়ে এই ত্রয়ী ভাঙন ধরল।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৯ মৌসুমে ৩৩৬ ম্যাচ খেলেছেন কাসেমিরো। এই সময়ে ক্লাবটির হয়ে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন। মাদ্রিদের জার্সিতে ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপ, ৩টি উয়েফা সুপার কাপ, ৩টি লা লিগা, ১টি কোপা দেল রে এবং ৩টি স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন তিনি।
কাসেমিরোর ব্যাপারে মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির খবর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও এক বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে। তার সঙ্গে কথাবার্তা, মেডিক্যাল এবং যুক্তরাজ্যের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হলেই দলবদল সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে ক্লাবটি।