ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আলাদা আলাদা উইন্ডো ঠিক করে দিয়েছে। ঠিক করা সূচিতে আইপিএলের জন্য আড়াই মাসের উইন্ডো দেয়া হয়েছে।
প্রতি বছর আইপিএলের টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে মার্চ-জুন মাসে। আর আইসিসির উইন্ডোতে পিএসএলের জন্য সময় দেয়া হয়েছে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস। তাই আইপিএল ও পিএসএলের সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে আইপিএল ও পিএসএল একই সময়ে মাঠে গড়াবে। কেননা সে বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। এ আসরটি হবে তিন দশক পর পাকিস্তানে আইসিসির বড় কোনও টুর্নামেন্ট। ১৯৯৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের পর আর কোন আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করা হয়নি পাকিস্তানের।
যেহেতু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে তাই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির বদলে পাকিস্তান পিএসএল আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছে মার্চ-মে উইন্ডো। এর বাইরে পিএসএলের জন্য ফাঁকা সময়ও পাবে না পিসিবি। কারণ সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।
এরপর ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর মে মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। আর জুলাই-আগস্টে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। আর ঘরের মাঠে আগস্টে আফগানিস্তানের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টিতে খেলবে। সেপ্টেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা রয়েছে তাদের।
অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে দুটি টেস্ট ও সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। আর নভেম্বরে শ্রীলঙ্কাকে আতিথ্য দেবে দেশটি।
বুধবার (১৭ আগস্ট) ২০২৩-২৭ সালের চক্রে ভবিষ্যৎ সফরসূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে আইপিএলের জন্য একেবারে আলাদা উইন্ডো রাখা না হলেও প্রতি বছর এপ্রিল ও মে মাসে খুব কম আন্তর্জাতিক ম্যাচ রাখা হয়েছে।
পরের চক্রে বেশ ব্যস্ত সময় কাটবে পাকিস্তানের। এই সময়ে ভারত ছাড়া আইসিসির পূর্ণ সদস্য বাকি সব দল দেশটিতে সফর করবে। এই চক্রে পাকিস্তানের ২৭ টেস্টের ১৩টি হবে ঘরের মাঠে। এছাড়া ৪৭ ওয়ানডের ২৬টি ও ৫৬ টি-টোয়েন্টির ২৭টি দেশের মাটিতে খেলবেন বাবর আজমরা।
এই সময়ে দেশের মাটিতে পিসিবি দুটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজও আয়োজন করবে- ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এবং ২০২৬ সালে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে।