সব ধরনের ফুটবল থেকে ভারতকে নিষিদ্ধ করেছে খেলাটির সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ফুটবলীয় কার্যক্রমে তৃতীয় পক্ষের প্রভাব খাটানোর অভিযোগে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আর একই কারণে দেশটির আরও তিন ক্রীড়া সংস্থা পড়ে গেছে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায়।
ফুটবলের পর এবার ভারতের দেশটির অলিম্পিক, হকি আর টেবিল টেনিস সংস্থাও নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে।
এআইএফএফের মতো হকি ইন্ডিয়াতেও সর্বেসর্বা হয়ে বসেছে সিওএ। তবে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন থেকে হকি সংস্থার বিপদ আরও বেশি। এদিকে ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যে।
বিশ্ব হকির নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফআইএইচ যদি হকি ইন্ডিয়াকে নির্বাসিত করে দেয়, তা হলে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ তো দেশটিতে হবেই না, উল্টো বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা হারাবে ভারত।
এদিকে ফুটবল-হকির মতো একই অবস্থা টেনিসেও। দিল্লি হাইকোর্টের রায় অনুসারে সেখানেও সিওএ-কে দেয়া হয়েছে প্রশাসনের দায়িত্ব। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সদ্য সমাপ্ত কমনওয়েলথ গেমসের ২২তম আসরের আগে বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে সেই সিওএ। বাদ পড়া টেবিল টেনিস খেলোয়াড়রা এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন, এর ফলে খেলোয়াড় দিয়া চিতালে সুযোগ পান কমনওয়েলথে যাওয়ার।
এছাড়াও ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাও (আইওএ) আছে নির্বাসনের ঝুঁকিতে। আইওএকে যদি শেষমেশ নির্বাসিত করাই হয়, তা হলে বিরাট সমস্যায় পড়বেন ভারতের ক্রীড়াবিদরা। অলিম্পিক্স তো বটেই, আইওএ-র অধীনে যে কয়টি ক্রীড়া সংস্থা রয়েছে, তাদের কোনো ক্রীড়াবিদ কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। রাতারাতি হাজার হাজার ক্রীড়াবিদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।