গত রোববার মিশরের ঐতিহ্যবাহী আবু সিফিন চার্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অনেক মানুষ। এমন বিপর্যয়ের এগিয়ে এলেন লিভারপুলের মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ।
দেশটির ধ্বংসপ্রাপ্ত গির্জাটি পুনঃনির্মাণের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মিসরের মুসলিম এই ফুটবলার। তিনি ৩০ লাখ মিসরীয় ডলার দান করেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১.৪ কোটি টাকা। এমনটাই জানিয়েছে গোলডটকম।
ধারণা করা হচ্ছে সেদিন এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার সময় পদদলিত হয়ে ১৮ জন শিশুর মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। এমন ঘটনার পর দেশটির রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ সিসি সমবেদনা জানিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীকে গির্জাটি পুনঃনির্মাণের আদেশও দিয়েছেন। মোহামেদ সালাহ এবার অনুদান দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন সেখানে।
মিশরের ক্রীড়া সাংবাদিক ইব্রাহিম আবদেল গাওয়াদ মোহামেদ সালাহর এই অনুদানের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। সালাহর এই উদারতাকে অনেকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন। ইতোমধ্যে বহু লোক হতাহতদের পাশে এসে দাঁড়াতে শুরু করেছেন।
আর্তমানবতার সেবায় সালাহর এমন ভূমিকা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও ২০১৯ সালে দেশটির ক্যান্সার হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ও আহতদের সহায়তায় নগদ ৩ মিলিয়ন পাউন্ড ও ১২ মিলিয়ন চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দান করেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড। এ ছাড়া ২০২০ সালে করোনাভাইরাসে দেশের অসহায় মানুষদের দফায় দফায় সহায়তা করেছেন সালাহ।
এদিকে সানডে টাইমসের জরিপে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে ২০২২ সালে জনকল্যাণমূলক কাজে খরচ করাদের তালিকায় আট নম্বরে রয়েছেন সালাহ। এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় আড়াই মিলিয়ন পাউন্ড দান করেছেন। যা তার মোট সম্পত্তির (৪১ মিলিয়ন পাউন্ড) প্রায় ছয় শতাংশের সমান।