Can't found in the image content. ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার স্থগিত সেই ম্যাচ বাতিল | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার স্থগিত সেই ম্যাচ বাতিল

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ১৭, ২০২২

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার স্থগিত সেই ম্যাচ বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। বিশ্বকাপের ৩২ দল ঠিকও হয়ে গেছে। তবে কনমেবল অঞ্চলের বাছাইয়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার অসমাপ্ত ম্যাচটি নিয়ে জটিলতা ক্রমেই বাড়ছিল। সেই ম্যাচটা আগামী মাসে ব্রাজিলের মাটিতে আয়োজনের নির্দেশ এসেছিল ফিফা-কনমেবলের কাছ থেকে। তবে সেই ম্যাচটা না খেলার জোর চেষ্টাই চালাচ্ছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। অবশেষে দুই দলের সেই চাওয়াই পূরণ হয়েছে। বাতিল হয়ে গেছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেই ম্যাচটি। 

গেল বছরের সেপ্টেম্বরে দুই দল যখন মুখোমুখি হয়, তখন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের করোনা নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে ম্যাচে হস্তক্ষেপ করেন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। যে কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল সেই ম্যাচ। 

এরপর থেকেই চলছিল সেই ম্যাচ আবারও আয়োজনের তোড়জোড়। চাপ দিচ্ছিল ফিফা-কনমেবল। তবে সেই চাপ উপেক্ষা করে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা ম্যাচটা বাতিলের চেষ্টা করছিল। সেই চেষ্টা সফলতার মুখ দেখছে অবশেষে। সম্প্রতি এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ফেডারেশন। 

সেখানে বলা হয়েছে, 'ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সেই ম্যাচটা আর হচ্ছে না। এএফএ, সিবিএফ ও ফিফা এই সমস্যার সমাধান পেয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে। ' দুই দলই জানিয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় সেই ম্যাচটা দুই দলেরই বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বাধা দিত।

গেল ফেব্রুয়ারিতে ফিফা জানিয়েছিল ম্যাচটা খেলতেই হবে দুই দলকে। ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনাকে জরিমানাও করেছিল বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরপরই দুই সংস্থা দ্বারস্থ হয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে। 

বিশ্বকাপে দুই দলই অনেক ম্যাচ হাতে রেখে নিজেদের খেলা নিশ্চিত করেছে। কনমেবল অঞ্চলে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপে গেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার অবস্থান এর ঠিক পরেই। এমনকি আর্জেন্টিনা যদি ব্রাজিলের সঙ্গে জিততও, তাহলেও দুই দলের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসত না। যার ফলে এই ম্যাচ খেলা নিয়ে দুই দলের কারোই তেমন আগ্রহ ছিল না। 

এই ম্যাচ না খেলার আরও একটা কারণও আছে। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হওয়ায় এই ম্যাচে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা সরাসরি যোগ হতো বিশ্বকাপে। এই ম্যাচে কেউ লাল কার্ড দেখলে শঙ্কা ছিল বিশ্বকাপ মিস করারও। যার ফলে দুই দলই সতর্ক ছিল এই বিষয়ে। খেলতে চাইছিল না ম্যাচটা। অবশেষে দুই দলেরই চাওয়া পূরণ হয়েছে, বাতিলই হয়ে গেছে ম্যাচটা।