সব অনিশ্চয়তা দূরে ঠেলে মাঠে নামলেন রবার্ট লেভানদোফস্কি, রাফিনিয়া ও ওসমান দেম্বেলে। তারা আক্রমণও করলেন; কিন্তু পারলেন না রায়ো ভায়েকানোর রক্ষণদেয়াল চূর্ণ করতে।
তুলনামূলক দুর্বল দলটির গোলরক্ষক স্তোল দিমিত্রিয়েভস্কি উপহার দিলেন দারুণ সব সেভ। ২০২২-২৩ মৌসুমের স্প্যানিশ লা লিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট খোয়াল কাতালানরা।
বায়ার্ন মিউনিখ থেকে দুইবারের ফিফা বর্ষসেরা রবার্ট লেভানদোফস্কি, লিডস ইউনাইটেড থেকে তরুণ প্রতিভাবান রাফিনহা, চেলসি থেকে রক্ষণে আন্দ্রেস ক্রিস্তিয়ানসেনকে দলে ভেড়ানোর পর মৌসুমের প্রথম ম্যাচে অভিষেক। জাভির অধীনে বদলেছে বার্সা। দেখা গেছে বল দখলে রেখে আক্রমণ সাজানো চিরচেনা বার্সেলোনা। রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে ৬৮ শতাংশ বল দখলে রেখেছে, নিয়েছে ২১টি শট যার মধ্যে ৬টি ছিল লক্ষ্যে। তবে তাতেও কাঙ্খিতত গোলের দেখা মেলেনি।
সব মিলিয়ে তিনবার বল জালে ঢোকে। কিন্তু অফসাইডের কারণে দুবার বার্সাকে ও একবার রায়োকে আক্ষেপে পুড়তে হয়। এমনকি ম্যাচের অধিকাংশ সময় রক্ষণ জমাট রাখতে হলেও রায়োর সামনে সুযোগ এসেছিল পূর্ণ তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার।
আর্থিক জটিলতায় চলমান গ্রীষ্মকালীন দলবদলে স্বাক্ষর করা ও চুক্তি নবায়ন করা খেলোয়াড়দের নিবন্ধন করানো নিয়ে বিপাকে ছিল বার্সা। একদিন আগেও নিশ্চিত ছিল না তাদের মাঠে নামা। তবে স্টুডিওর ২৪.৫ শতাংশ বিক্রি করে ১০০ মিলিয়ন ইউরো আয়ের মাধ্যমে জুলস কুন্দে বাদে বাকিদের নিবন্ধন করাতে সমর্থ হয় তারা।
শেষ মুহূর্তে যে ছয় জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে, তাদের চার জন জায়গা পান বার্সেলোনার শুরুর একাদশে। তারা হলেন ওসমান দেম্বেলে, রবার্ত লেভানদোফস্কি, রাফিনহা ও আন্দ্রেয়াস ক্রিস্তিয়ানসেন। বাকি দুজন অর্থাৎ সার্জি রবার্তো ও ফ্রাঙ্ক কেসিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন।
ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটেই বল জালে পাঠিয়েছিল বার্সেলোনা। দেম্বেলের থ্রু বল ধরে গোলরক্ষক দিমিত্রিয়েভস্কির ওপর দিয়ে চিপ করে করেন পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানদোফস্কি। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকার কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
আক্রমণের ঝাড় সামলাতে ব্যস্ত থাকা রায়ো প্রথমার্ধের শেষদিকে এগিয়ে যেতে পারত। সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন আলভারো গার্সিয়া। রোনালদ আরাউহোকে এড়িয়ে তার নেওয়া শট ফিরিয়ে বার্সার জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে কেসিয়ে নিশানা ভেদ করলেও অফসাইডের বাঁশি বাজে। এরপর রাদামেল ফ্যালকাওয়ের মুখে কনুই দিয়ে আঘাত করায় রেফারি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান বুসকেতসকে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ফ্যালকাও টের স্টেগেনকে ফাঁকি দিলেও অফসাইডের কারণে বিবেচিত হয়নি গোলটি।