আজ টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ভেঙেছে বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচেও একাদশে পরিবর্তন আসছে। ইনজুরি কাটিয়ে খেলার সম্ভাবনা মোস্তাফিজের। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর সোয়া ১টায়।
বাংলাদেশের এ প্রজন্মের ক্রিকেটাররা কখনো এ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হননি। জিম্বাবুয়ের কাছে হোয়াইটওয়াশ! এ যেনো এক দু:স্বপ্ন। তবে ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস যাদের হেসেখেলে এতোদিন হারিয়ে এসেছে টাইগাররা ২১ বছর পর তাদের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার সামনে দাঁড়িয়ে।
বাংলাদেশ বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বলেন, স্পোর্টিং উইকেটে ব্যাটিং নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা না থাকলেও বোলারদের পারফরম্যান্স ঠিকই ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। শুরুতে আঘাত হানতে পারলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন নখদন্তহীন টাইগার বোলাররা। সেই সঙ্গে বাজে ফিল্ডিং তো আছেই। প্রতি ম্যাচেই চলছে ক্যাচ মিসের মহড়া।
নিজেদেরই যখন এতো সমস্যা প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবার সময় কই! তবুও ভাবতে হয়। সিকান্দার রাজা যেন এই সিরিজের একাই রাজা। সেই সঙ্গে ইনোসেন্ট কাইয়া, রেগিস চাকাভাদের দাপুটে পারফরম্যান্স তো আছেই। এগুলো নিয়েও নিশ্চয়ই হোম ওয়ার্ক করে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশ দলের আরেক সমস্যা ইনজুরি। যে কারণে প্রথম ওয়ানডের পর ঢাকা থেকে উড়িয়ে এনেছে নাঈম শেখ ও এবাদত হোসেনকে। দুজনেরই একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ইনজুরিমুক্ত হলে ফিরতে পারেন মোস্তাফিজুর রহমানও। সেক্ষেত্রে বাদ পরতে পারেন তাসকিন ও শরিফুল। চূড়ান্ত লজ্জা আটকাতে যে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের।
এদিকে চারশতম ওয়ানডের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। আর সেটা হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে। ১৯৮৬ সালে যে ফরম্যাট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশের তার চারশ ম্যাচ পূর্ণ হচ্ছে। শুরুটা পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ৩৬ বছরে ১৮টি দেশের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে বেশি জিম্বাবুয়ের সঙ্গেই। ৮০ ম্যাচ খেলেছে। অর্ধশতাধিক ম্যাচ খেলা আরেক প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।