পুরোটা না হলেও গুঞ্জনের কিছুটা সত্যি হলো! দিনকয়েক ধরে বাতাসে ভাসছিল, ভারতের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন বিরাট কোহলি। এবার কোহলি নিজেই জানিয়ে দিলেন তার সিদ্ধান্ত। ভারতকে আর টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেবেন না তিনি। সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই ছেড়ে দেবেন কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব।
আজ (বৃহস্পতিবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কোহলি। কুড়ি ওভারের দায়িত্ব ছাড়লেও ওয়ানডে ও টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন এই ব্যাটসম্যান।
নিজের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে কোহলি জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী, সেক্রেটারি জয় শাহ ও নির্বাচকদের। ঘনিষ্ঠজন, যাদের মধ্যে রয়েছেন কোচ রবি শাস্ত্রী ও সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা, তাদের সঙ্গে বিস্তর আলোচনার মাধ্যমে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তার জায়গায় ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রোহিত। শিগগিরই হয়তো বিসিসিআই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে যাচ্ছে নতুন অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের নাম।
টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণায় কোহলি টুইটারে লিখেছেন, ‘কাজের চাপের বোঝা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাছাড়া গত ৮-৯ বছর তিন ফরম্যাটে খেলে যাওয়ার সঙ্গে ৫-৬ বছর নিয়মিত নেতৃত্ব দেওয়াটা আমার জন্য অনেক বেশি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার মনে হয়েছে, টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভারতকে পরিপূর্ণভাবে নেতৃত্ব দিতে আমার নিজের জন্য জায়গা দরকার।’
নির্বাচকদের সঙ্গে বসে বিশ্বকাপ দল নির্বাচন করার ঠিক আট দিনের মাথায় এলো কোহলির এই ঘোষণা, ‘অনেক চিন্তা-ভাবনা করে ও আমার অনেক কাছে মানুষ, যাদের মধ্যে রবি ভাই (রবি শাস্ত্রী) ও রোহিতও আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কোহলি প্রথম ভারতের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন টেস্ট দিয়ে। ২০১৪-১৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাঝপথে মহেন্দ্র সিং ধোনি সরে দাঁড়ালে দায়িত্ব ওঠে তার কাঁধে। এরপর ২০১৭ সালে ধোনি সীমিত ওভারের ক্রিকেটেরও দায়িত্ব ছেড়ে দিলে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হন কোহলি।
এই যাত্রায় যাদের সঙ্গে পেয়েছেন, টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব ছাড়ার সময় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি, ‘আমার শুধু ভারতের জার্সিতে খেলার সৌভাগ্য হয়নি, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগও হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পথে যারা আমাকে সাহায্য করেছেন, তাদের প্রত্যেকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘সতীর্থ, সাপোর্ট স্টাফ, নির্বাচক কমিটি, আমার কোচেরা এবং ভারতের প্রত্যেকে, যারা আমাদের জয়ের প্রার্থনা করেছেন সবসময়- তাদের ছাড়া এটা (নেতৃত্ব দেওয়া) আমি কখনোই করতে পারতাম না।’
১৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে ভারতের লড়াই শুরু হবে ২৪ অক্টোবর। সুপার-১২ পর্বের প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত।