যে পরিমাণ বিনিয়োগ সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব করছে, সেটার বিপরীতে পর্যাপ্ত প্রাপ্তি মিলছে না তাদের। আয় ও ব্যয়ের এই তারতম্যের কারণে আগামী মৌসুম থেকে সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা। বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য নিঃসন্দেহে এটি চরম দুঃসংবাদ।
ফুটবল কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইফের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন তরফদার। ইতোমধ্যে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে চিঠি দিয়েছে তারা।
রুহুল আমিন বলেছেন, ব্যয়ের তুলনায় সাইফের আয়ের পরিমাণ অনেক কম, 'আউটপুট ও ইনপুটগুলোর মধ্যে বিশাল পার্থক্যের কারণে ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদ আগামী মৌসুম থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সমস্ত ফুটবল কার্যক্রম থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
কোনো কর্পোরেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত বাংলাদেশের প্রথম ফুটবল ক্লাব হলো সাইফ স্পোর্টিং। ২০১৭ সালে ঘরোয়া পর্যায়ের শীর্ষ ফুটবল আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল তারা। আগের মৌসুমে তারা পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শিরোপা জিতেছিল।
পেশাদার ফুটবল লিগের আরেক ক্লাব চট্টগ্রাম আবাহনীর ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা রুহুলের মতে, দেশের ফুটবল ইতিবাচক অবদান রাখতে পারছেন না তারা, 'আমরা মনে করি, দেশের ফুটবলে ভালো অবদান রাখতে পারছি না। পাশাপাশি আমরা আমাদের ব্যবসার বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যস্ত আছি এবং ক্লাবের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে সমর্থ নই।'
সবশেষ মৌসুমের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় স্থান অর্জন করে সাইফ। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে যা তাদের সর্বোচ্চ ফল। ২২ ম্যাচে ১১ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৩৭ পয়েন্ট পেয়েছিল তারা।
গত কয়েক বছরে সাইফ স্পোর্টিং বেশ কিছু ভালো মানের খেলোয়াড় তৈরি করেছে যারা বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন রিয়াদুল হাসান রাফি, রহমত মিয়া, ইয়াসিন আরাফাত, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মিরাজ হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন।