পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে জুতো ছুড়ে মারলেন এক মহিলা। মঙ্গলবার জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে তখন বের করানো হচ্ছিল পার্থকে। বেরোনোর সময় তাঁর গাড়ির দিকে জুতো ছোড়েন ওই মহিলা। যদিও জুতো পার্থের গায়ে লাগেনি। গাড়িতে লেগেই পড়ে যায়। আনন্দবাজারের খবর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই মহিলার নাম শুভ্রা ঘড়ুই। বাড়ি আমতলা। তাঁর ছোড়া জুতো পার্থের গায়ে না লাগায় মহিলার আফসোস, ‘‘জুতোটা ওঁর টাকে লাগলে শান্তি পেতাম।’’
ওই প্তিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে জোকায় নিয়ে আসা হয়েছিল পার্থকে। সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন ওই মহিলাও। পার্থকে দেখা মাত্রই তিনি নিজের পা থেকে দু’পাটি চটি খুলে ছুড়ে মারেন পার্থকে লক্ষ্য করে। পার্থ অবশ্য তখন গাড়িতে।
পরে ওই মহিলা বলেন, ‘‘ওঁদের কোটি কোটি টাকা। কলকাতার একাধিক জায়গায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। এসি গাড়ি করে হাসপাতালে আসছেন। এতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। আমরা ঠিক মতো ডাক্তার দেখাতে পারছি না। তাই জন্যই জুতো ছুড়েছি। জুতোটা ওঁর টাকে লাগলে শান্তি পেতাম।’’
আমতলার বাসিন্দা ওই মহিলা এক সন্তানের জননী। তাঁর একটি মেয়ে আছে। সে এখন উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করছে। শুভ্রাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি কেন এই কাজ করলেন? তারই জবাব শুভ্রা বলেন, ‘‘এটা আমাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। হাজার মানুষ চাকরি পায়নি ওঁদের জন্য। তাঁদের সবার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’’
নিতান্তই সাধারণ বেশভূষা। সুতির শাড়ি। মুখে মাস্ক, মাথায় সিঁদুর, কপালে টিপ। চুল খোঁপা করে বাঁধা। দেখে বোঝা যাচ্ছে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ। কেন জুতো ছুড়েছেন, প্রশ্ন করতেই গর্জে উঠলেন শুভ্রা। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন ছুড়ব না? উনি গরিব মানুষের টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট কিনে রেখে দিয়েছেন। জুতো মারব না?’’ পার্থের গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে ঘিরে ধরেছিলেন সাংবাদিকরা। তাঁদের ওই মহিলা বলেন, ‘‘জুতো ছুড়তে গিয়েছিলাম। আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়ে গিয়েছে। এ বার খালি পায়েই বাড়ি যাব।’’