একের পর এক প্রতিপক্ষ বদলাচ্ছে, তবে টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য মিলছে না বাংলাদেশ দলের। জিম্বাবুয়ে সফরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া হলো নুরুল হাসান সোহানকে। নতুন মোড়কে নতুন শুরুর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামল টাইগাররা, তবে লাভের লাভ হলো না কিছুই। আবার সঙ্গী সেই পরাজয়। চেনা প্রতিপক্ষ, তুলনামূলক দুর্বল জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এই হার যেন হারের থেকে বেশি কিছু বাংলাদেশের দলের কাছে।
আগে ব্যাট করে সিকান্দার রাজার ২৬ বলে ঝড়ো ৬৫ রানের কল্যাণে স্কোর বোর্ডে ২০৫ রানের পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ১৮৮ রানে থামে সফরকারীদের ইনিংস। ১৭ রানে ম্যাচ হেরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সোহান জানালেন, ১৫ রান বেশি হয়ে গেছে। তবে এই হারেও প্রাপ্তি দেখছেন তিনি। সেই প্রাপ্তি নিয়েই রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা।
সোহান বলছিলেন, ‘খুব ভালো ম্যাচ হয়েছে। ডেথ ওভারে, শেষ ৫-৬ ওভারে ভালো জায়গায় বল করতে পারিনি। তারা অনেক ভালো ব্যাট করেছে। এমন কিছু জায়গা আছে যেসব জায়গায় উন্নতি করে আগামী ম্যাচে মাঠে নামতে পারি। এই ম্যাচেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে। ইতিবাচক দিকগুলো নিব। পরের ম্যাচে উন্নতি হবে ইনশাআল্লাহ।’
এদিন বোলাররা দুইহাতে রান বিলিয়েছেন। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৫০ রান, শরিফুল ৪৫ আর তাসকিন দিয়েছেন ৪২ রান। তিন পেসার ১২ ওভারে দিয়েছেন ১৩৭ রান। তবে বোলিংই কি হারের বড় কারণ?
সোহানের জবাব, ‘আসলে কোনো কারণ দেখতে চাচ্ছি না। ব্যাটিং বলুন, বোলিং বলুন, ফিল্ডিং বলুন- সব আমরাই। যেটাই করি আমাদেরই ভালো করতে হবে।’
সঙ্গে যোগ করেন সোহান, ‘ফিল্ডিং ঠিক আছে। সবাই খুব চেষ্টা করেছি। ফিফটি-ফিফটি কিছু সুযোগ ছিল যেগুলো কাজে লাগাতে পারতাম। তবে ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। ২০০ রান তাড়া করা অনেক বড় ব্যাপার। উইকেট ভালো ছিল, আশা ছিল তাড়া করতে পারব। উইকেট ভালো ছিল। আমরা আরও ১৫ রান কম দিলে ভিন্নরকম দৃশ্য হত।’