ওয়ানডে সংস্করণ থাকবে কি না এই আলোচনার মধ্যে যোগ দিয়ে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ কমিয়ে দেওয়ার কথা বলছিলেন রবি শাস্ত্রী। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার এবার বলছেন, কমিয়ে দেওয়া হোক টেস্ট দলের সংখ্যাই। তার মতে, শীর্ষে থাকা ছয় দলের বাইরে কারো টেস্ট খেলার দরকার নেই!
বর্তমানে টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা ১২। তবে এরমধ্যে সেরা ৯টি দল খেলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পায় না।
ভারতের সাবেক কোচ শাস্ত্রী চান তলানিতে থাকা আরও তিন দলেরও সুযোগ সীমিত করে ফেলা উচিত। খেলা উচিত কেবল সেরা ছয় দলের। স্কাই স্পোর্টসের আলোচনায় এমন অদ্ভুত কথাই বলেছেন তিনি, 'টেস্ট ক্রিকেটকে আকর্ষণীয় করতে হলে ১০-১২ দলের টেস্টের কোন দরকার নেই, শীর্ষ ৬ দলই খেলুক। খেলার সংখ্যার চেয়ে মানের জোর দেওয়া যায়। আইসিসি দলের সংখ্যা বাড়াতে চাইলে টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডেতে বাড়াক। টেস্টে অবশ্যই দল কমিয়ে ফেলা উচিত। সেরকম হলে ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাচ্ছে কিনা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ডে যাবে কিনা সেটা বিষয় থাকবে না।'
শীর্ষ ৬ দল কীভাবে নির্ধারিত হবে তা পরিষ্কারভাবে না বললেও র্যাঙ্কিংয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি, 'কোন ৬ দল টেস্ট খেলবে, তা পারফরম্যান্স দিয়েই বিচার করা হোক। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা যারাই খেলবে তাদের সেরা ছয়ে থাকতে হবে। বাছাই উতরে সেরা ছয়ে আসতে হবে টেস্ট খেলতে হলে।'
লাল বলে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে যারা লড়াই করতে পারছে তাদের সঙ্গে শীর্ষ দলগুলোর খেলা চান না শাস্ত্রী, কারণ এতে তিনি বাণিজ্যিক ক্ষতি দেখছেন, 'টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে ক্রিকেটারদের পরীক্ষা। এতে পাশ করার সামর্থ্য থাকতে হবে। টেস্ট যদি মানসম্মত না হয় তাহলে কে দেখবে। পাঁচ দিনের খেলা শেষ হবে দুই বা তিনদিনে। যে দেশ কখনই টেস্ট খেলেনি তাদের যদি বোলিং কন্ডিশনে ইংল্যান্ড, ভারত বা অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড় করানো হয় তাহলে সামলাতে পারবে? সম্প্রচার সংস্থাও ব্যবসা করতে পারবে না। কারণ পাঁচ দিনের ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে দুই-তিনদিনে। দর্শকরাও মজা পাবে না।'
এর আগে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ কমিয়ে আইপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরের সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছিলেন তিনি। মোট কথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কমিয়ে আইপিএলের মতো চটকদার আয়োজনের ব্যাপ্তি বাড়াতেই যত চিন্তা ভারতীয় এই সাবেকের।