ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, জুলাই ৯, ২০২৪ |

EN

মঈন-আদিলের কাছে ইসলাম নিয়ে জানতে চাইলেন মরগ্যান

স্পোর্টস ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, জুলাই ২০, ২০২২

মঈন-আদিলের কাছে ইসলাম নিয়ে জানতে চাইলেন মরগ্যান

ছবি: সংগৃহীত

স্টেডিয়ামের ফাঁকা চেয়ারে বসে আছেন ইয়ন মরগ্যান। ক'দিন আগেই ক্রিকেটটা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

মরগ্যান ইন করা শার্ট পরে বসে আছেন স্কাই স্পোর্টসের মাইক্রোফোন হাতে। তার সামনে ইংল্যান্ডের দুই মুসলিম ক্রিকেটার ও তার সাবেক সতীর্থ মঈন আলি ও আদিল রশিদ। 
 
ধর্মীয় সম্প্রীতির এক দারুণ দৃষ্টান্তই স্থাপন হলো এরপর। উপস্থাপক মরগ্যান জানতে চাইলেন মঈন-আদিলের বিশ্বাসের কথা। কয়েকদিন আগে হজ করতে গিয়েছিলেন আদিল রশিদ, আগেই করেছেন মঈন আলিও; শুনলেন তাদের অভিজ্ঞতা। তারা বললেন, ইসিবি কিংবা মরগ্যানের দেওয়া ভরসার কথাও।  

মরগ্যান জানতে চান, মঈনের কাছে ধর্মটা আসলে কী? জবাবে মঈন বলেন, ‘আমাদের কাছে এটা সবকিছু। ইসলাম আমার জীবনে সবকিছুর চেয়ে এগিয়ে, সেটা ক্রিকেট হোক অথবা অন্য যেকোনো কিছু।  শুধু আমার না, পরিবারের সবার কাছেই। কিন্তু এটা আমাদের অন্য কিছুতে লয়্যালিটি কমায় না। ইসলাম আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ।’   

মরগ্যান এরপর জানতে চান হজের কথা। এটা আসলে কেমন? মঈন জবাব দেন, ‘হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আমরা ক্রিকেটার হিসেবে রোল মডেল অনেকের কাছে। মুসলমানদের কাছে রোল মডেল হচ্ছে আমাদের নবী। ইব্রাহিম (আঃ) ও তার পরিবার যে ত্যাগ করেছে, তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে করি আমরা এটা।’

‘আমার জীবনের বড় অভিজ্ঞতা ২১ বছর বয়সে হজ করতে পারা। সব মুসলমান একই কাপড় পরে আছে, তাই ধনী-গরীবের ব্যবধান থাকে না। হজ আপনাকে ধৈর্য শেখাবে আর এটা জীবনের সবকিছু বদলে দেবে।’

কয়েকদিন আগেই হজ করে এসেছেন আদিল রশিদ। তার অভিজ্ঞতাটা কেমন? আদিল জবাব দেন, ‘অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। মুসলমান হিসেবে আমাদের আর্থিক, শারিরীক ও মানসিক সামর্থ্য থাকলে এটা করতেই হবে। আমি অনেকদিন ধরেই করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু আমি ক্রিকেট খেলায় হজ করা কিছুটা কঠিন। কিন্তু ইসিবি ও ইয়র্কশায়ার আমার জন্য এটাকে সহজ করে দিয়েছে।’ 

সবার সমর্থন কেমন পেয়েছিলেন? ‘১০০ ভাগ। আমি যখন হজ নিয়ে প্রথম ভাবি, এরপর ইসিবি, ইয়র্কশায়ার ও তোমার (মরগ্যানের) সঙ্গেও কথা বলেছি অধিনায়ক হিসেবে। আমি সবার কাছ থেকে যে সমর্থন পেয়েছি, অসাধারণ। যেটা আমার জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল। সবাই বলেছে, যেটা তোমার করা দরকার, করে ফেলো।’