গত সোমবার বিকেলে হুট করেই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন বেন স্টোকস। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন নিজের শেষ ওয়ানডেটা। তবে প্রোটিয়ারা সেটা মোটেও সুখকর হতে দিলো না। রাসি ফন ডার ডাসেনের ক্যারিয়ারসেরা ১৩৪ রানে ভর করে ইংল্যান্ডকে ৬২ রানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও গেল দলটি।
স্টোকসের বিদায়ী ওয়ানডেতে শুরুটা মন্দ করেনি ইংল্যান্ড। কুইন্টন ডি কককে অল্পেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মঈন আলি। তবে এরপরের গল্পটা শুধু প্রোটিয়াদেরই। তিনে নামা ডাসেন প্রথমে ওপেনার ইয়ানেমান মালানের (৫৭) সঙ্গে গড়েন ১০৯ রানের জুটি।
এরপর ১৫১ রানের জুটি গড়েন এইডেন মার্করামের সঙ্গে; ব্যক্তিগত ৭৭ রানে মার্করাম ফিরলেও ডাসেন লড়েছেন প্রায় শেষ পর্যন্ত। ৪৬তম ওভারে যখন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৩৪ রানে ফিরেছেন, তখন দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় রানের দিশা দেওয়া হয়ে গেছে তার।
বাকি কাজটা সেরেছেন ডেভিড মিলার। হাইনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে তার ২০ বলে ৩০ রানের জুটিতে ভর করেই দক্ষিণ আফ্রিকা গড়ে ফেলে ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
যে ক্যারিয়ারে ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপের শিরোপা, এছাড়াও গড়েছেন অগণিত সব কীর্তি, সেই ক্যারিয়ারের শেষের দিনে বড্ড সাদামাটা ছিলেন স্টোকস। বল হাতে করেছেন মাত্র ৫ ওভার। ছিলেন বড় খরুচে, দিয়েছেন ৪৪ রান।
বল হাতে বিবর্ণ রূপটা মুছে দিতে পারতেন ব্যাট হাতে। সেখানেও ব্যর্থই হয়েছেন ইংলিশ এই অলরাউন্ডার। ১১ বলে ৫ রান করে ফিরেছেন তিনি।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৩৩ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি ইংলিশদের। জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো ১০২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ফেলেছিলেন। তবে এরপরই স্বাগতিকদের ভেঙে পড়ার শুরু। উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। ১০২ রানে রয়কে হারানোর পর আরেক ওপেনার বেয়ারস্টোকে হারায় ১২৫ রানে। ১৪২ রানে বিদায় নেন স্টোকসও। ২০০ পেরোনোর আগেই শেষ হয়ে যায় দলটির ৬ উইকেট>
ওপাশে সঙ্গীদের আসা যাওয়ার মিছিলেও জো রুট চেষ্টা করেছিলেন বেশ। ৭৭ বলে ৮৬ রানের ইনিংসটাও শেষ হয় দলীয় ২৫২ রানে। এরপর ইংল্যান্ডের রান আর বেশি দূর এগোয়নি। অলআউট হয় ২৭১ রানেই। ফলে ৬২ রানের জয় নিয়ে স্টোকসের বিদায়ী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে জয়বঞ্চিত রাখার কাজটা সেরে ফেলে দ. আফ্রিকা।