তীব্র অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রীর তীব্র ঘাটতির ফলে বেশ বিপাকে পড়েছিল দ্বীপ দেশটি। ফলে দেশটির ক্রিকেট পড়েছিল অনিশ্চয়তায়। তবে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সংকট মোচন হচ্ছে। আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। এমন অবস্থায় নিয়মিত হয়েছে দেশটির ক্রিকেট। ফলে আসন্ন এশিয়া কাপ ক্রিকেট সে দেশে না হওয়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা একপ্রকার উড়ে গেছে।
শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া এশিয়া কাপ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলছিলেন, ‘মূলত এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) থেকেই আসবে। এখন পর্যন্ত যা জানি- শ্রীলঙ্কাই আয়োজন করছে। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কা সফর করেছে। তাদের হোস্টিংয়ের চ্যালেঞ্জ হয়তো কাটিয়ে উঠেছে। আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়েই এশিয়া কাপ হবে।’
অস্ট্রেলিয়াকে তিন টি-টোয়েন্টি, পাঁচ ওয়ানডে ও দুই টেস্টে আতিথেয়তা দিয়ে শ্রীলঙ্কা বুঝিয়ে দিয়েছে মাঠের আয়োজনে তারা প্রস্তুত। এর আগে তারা বাংলাদেশ সফরও করেছিল। এমনকি লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে তারা। এজন্য আগামী ২৭ আগষ্ট সূচিতে থাকা এশিয়া কাপ নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখছেন না নিজামউদ্দিন।
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২২ এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ আরো একটি দল অংশ নেবে। এজন্য এসিসি টুর্নামেন্টটি মাঠে ফেরাতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছেন নিজনামউদ্দিন, ‘বাংলাদেশের সাথে ভারত-পাকিস্তানের মত হাই প্রোফাইল দলগুলোও যাবে। তাই আমাদের চেয়ে এসিসিই এটা নিয়ে বেশি ভাবছে। আশা করি বিষয়টা তারা সেভাবেই সামাল দিবে।’
২০২০ এশিয়া কাপ আয়োজন করার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে ২০২১ সালে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। অবশেষে ২০২২ সালে হচ্ছে সেটি।