চট্টগ্রাম আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার খেলা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ৩-৩ গোলে ড্র হয়। এমন এক ম্যাচে জয় যেন ভাগ্যের ব্যাপার। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ কার ভাগ্যটা কীভাবে লেখেন, বলা মুশকিল।
চট্টগ্রাম আবাহনী বনাম সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের লড়াইয়ে যা হলো, তা কেবল রোমাঞ্চকর ও নাটকীয় বললে কমই বলা হবে। বিরতির পর যেন গোল উৎসবে মেতেছিল দু’দল।
একবার সাইফ এগিয়ে যায় তো আরেকবার চ. আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধে হলো মোট ৫ গোল। তাতে স্বস্তির ও শেষ হাসি সাইফের। কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে সাত গোলের ম্যাচে চ. আবাহনীকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল।
বিরতিতে যাওয়ার দুই মিনিট আগে এমেকার গোলে সাইফের এগিয়ে যাওয়া। তবে দ্বিতীয়ার্ধে চেনা রূপে চ. আবাহনী। ৫৭তম মিনিটে বন্দর নগরীর দলটিকে সমতায় ফেরান পোপালজাই। ৬৫তম মিনিটে ক্যান্ডি অগাস্টিনের গোলে এগিয়ে যায় তারা।
তবে পিছিয়ে পড়ে ফুঁসে ওঠেন জামাল ভূঁইয়ারা। দুই মিনিটের ব্যবধানে ফের লিড সাইফের। ৭২ ও ৭৪ মিনিটে জোড়া গোল ফাহিমের। পরাজয় যখন চোখ রাঙাতে শুরু করেছে তখনই উচ্ছ্বাসে ভাসে মারুফুল হকের দল।
শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় চ. আবাহনী। ৮৬তম মিনিটে স্পট-কিক নিতে এসে কোনো ভুল করেননি পিটার এবিমোবোয়ি। সমতায় ফেরে মারুফুলের শিষ্যরা। তারপরও যে হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি চ. আবাহনী।
জয়সূচক গোলটিও এলো পেনাল্টি থেকে। তবে এবার তা পক্ষে যায় সাইফের। নির্ধারিত সময়ের যোগ করা প্রথম মিনিটে স্পট-কিক নেন ডিফেন্ডার এমেরি। তাতেই নির্ধারিত হয়ে যায় জয়-পরাজয়।
এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় তিনে ওঠে এলো সাইফ। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গ তাদের ব্যবধান ১১ পয়েন্ট। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে চ. আবাহনী।